আজকাল ওয়েবডেস্ক: দু'বছর ধরে লক্ষীর ভান্ডার নেওয়ার পর এক গৃহবধূ জানতে পারলেন তিনি যে ভাতা পেয়ে আসছিলেন সেটা লক্ষ্মীর ভান্ডার-এর নয়, 'বিধবা ভাতা'। ঘটনার পিছনে উঠে এসেছে শাসকদলের এক কর্মীর হাত। অভিযোগ, তিনি টাকা নিয়ে লক্ষীর ভান্ডার-এ নাম নথিভুক্ত করে দেবেন বলে বিধবা ভাতায় নাম নথিভুক্ত করে দিয়েছিলেন।
জানা গিয়েছে, শান্তিপুর থানা এলাকার বাসিন্দা পরেশ দে'র একটি সাইকেল মেরামতির দোকানে রয়েছে। তাঁর স্ত্রী শেফালি দে লক্ষ্মীর ভান্ডার-এর জন্য গত কয়েকবছর ধরে আবেদন করে এলেও নাম নথিভুক্ত হয়নি। বিষয়টি তিনি প্রতিবেশী এক তৃণমূল কর্মী উত্তম হালদারকে জানালে উত্তম তাঁর থেকে টাকা নিয়ে তাঁর নাম লক্ষ্মীর ভান্ডার-এর পরিবর্তে বিধবা ভাতায় নথিভুক্ত করে বলে অভিযোগ। শেফালিদেবীর দাবি, তাঁকে এই বিষয়ে ঘুণাক্ষরেও কিছু বলেনি উত্তম। নথিভুক্ত হওয়ার পর গত দু'বছর ধরে শেফালিদেবী ভাতার টাকা পেয়ে আসছিলেন।
বিষয়টি সামনে আসে যখন গত কয়েক মাস ধরে ভাতার টাকা আসা বন্ধ হয়। ব্যাঙ্কে গিয়ে খোঁজ নিয়ে শেফালিদেবী জানতে পারেন তিনি বিধবা ভাতার টাকা পেয়ে আসছিলেন, লক্ষ্মীর ভান্ডার নয়। বিষয়টি জানতে পেরে শান্তিপুরের বিডিও পুলিশের কাছে উপভোক্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। শেফালিদেবীর দাবি, একসঙ্গে সমস্ত টাকা ফেরত দেওয়ার মতো আর্থিক ক্ষমতাও তাঁর নেই। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকেই অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী বেপাত্তা বলে অভিযোগ।