• দুলাল খুনে ৫০ লক্ষ টাকার সুপারি, মূল চক্রী নরেন্দ্র ও স্বপন :ADG দক্ষিণবঙ্গ
    আজ তক | ০৮ জানুয়ারি ২০২৫
  • মালদায় নিহত তৃণমূল কাউন্সিলার দুলাল সরকার ওরফে বাবলা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ গ্রেফতার করা হয়েছে  দলের টাউন সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারিকে। গ্রেফতার করা হয়  স্বপন শর্মা নামে আরও একজনকেও ৷ এই স্বপন শর্মা বাম আমলের ত্রাস হিসাবেই চিহ্নিত ৷ ধৃত দু'জনকেই বুধবার মালদা জেলা আদালতে পেশ করা হয় ৷ এই নিয়ে মামলায় এখনও পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেফতার করা হল। বুধবার বিকেলে এই নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন  ADG (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার। জানান তৃণমূল কাউন্সিলার দুলাল সরকার খুনে মূল চক্রী এই স্বপন শর্মা এবং নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি। তৃণমূল কাউন্সিলকে খুন করতে ৫০ লক্ষ টাকার সুপারি দেওয়া হয়েছিল। এই ঘটনায় এখনও দুই ব্যক্তিকে খুঁজছে পুলিশ।

    বুধবার রাজ্য পুলিশের এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার সাংবাদিক সম্মেলনে জানান কান্সিলার দুলাল সরকার ওরফে বাবলাকে খুনের মূল চক্রী তৃণমূলের শহর সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি ও স্বপন শর্মা। ৫০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে সুপারি কিলার দিয়ে তাঁকে খুন করা হয়েছে। যদিও, খুনের মোটিভ এখনও নিশ্চিত নয় রাজ্য পুলিশ। এই ঘটনায় এখনও দু’জন পলাতক রয়েছে, তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। 

    গত ২ জানুয়ারি মালদার ইংরেজবাজার শহরের ঝলঝলিয়ার কাছে নিজের কারখানার কাছে খুন হন তৃণমূল কাউন্সিলর দুলাল সরকার। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, প্রাণ বাঁচাতে কারখানায় ঢুকে পড়েছিলেন তৃণমূল নেতা। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। তিন দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। তৃণমূল নেতার মৃত্যুর কারণ নেপথ্যে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে দাবি করেছেন স্ত্রী চৈতালি সরকার। খুনের তদন্তে নেমে মঙ্গলবার তৃণমূলের শহর সভাপতি তথা হিন্দি সেলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথকে থানায় ডেকে পাঠিয়েছিল পুলিশ। টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পাকড়াও করা হয় স্বপন শর্মা নামে এক ব্যক্তিকেও। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত কাউন্সিলর খুনের ঘটনায় সাত জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্তে উঠে এসেছে, দুলালের সঙ্গে নরেন্দ্রনাথের বিরোধ অনেক পুরনো।

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন দুলাল সরকার ৷ তাঁর খুনের ঘটনায় পুলিশকে সর্বোচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী ৷ ঘটনার দিনই ঝাড়খণ্ডে পালানোর সময় মানিকচকে গঙ্গার ঘাটে গ্রেফতার করা হয় শামি আখতার ও টিংকু ঘোষ নামে দুই দুষ্কৃতীকে ৷ তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে অভিজিৎ ঘোষ আর অমিত রজক নামে আরও দু'জনকে জালে তোলে পুলিশ। এরপর বিহারের কাটিহার জেলার শালমারা থেকে গ্রেফতার করা হয় আবদুল গনি নামে আরও এক শার্প শ্যুটারকে ৷ জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, তাঁদের এই কাজে নিয়োগ করেছিলেন কৃষ্ণ রজক ওরফে রোহন ৷ তিনি এখনও পলাতক ৷ পলাতক এই ঘটনায় আরেক চক্রী বাবলু যাদবও ৷ তাঁদের খোঁজ পেতে প্রত্যেকের জন্য দু'লাখ টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করেছে জেলা পুলিশ।
     
  • Link to this news (আজ তক)