লোকসভা ভোটে বিজেপিকে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার আগে রুখে দেওয়ার পর উজ্জীবিত হয়েছিলেন 'ইন্ডিয়া' জোটের নেতারা। কিন্তু, যত সময় এগোচ্ছে ততই জোটে তৈরি হচ্ছে জট। দিল্লিতে ইতিমধ্যেই কংগ্রেসকে ছাড়া বিধানসভা ভোটে লড়ার কথা ঘোষণা করেছে আপ। স্বভাবতই ত্রিমুখী লড়াই রাজধানীতে। লোকসভা ভোটে আসন সমঝোতা করেছিল আপ এবং কংগ্রেস। এখন তারাই পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে। এই লড়াইয়ে কংগ্রেস নয়, বরং আপের পাশে দাঁড়াল 'ইন্ডিয়া' জোটের শরিক তৃণমূল কংগ্রেস। বাংলার শাসক দল মনে করছে, দিল্লিতে কংগ্রেসের যা সাংগঠনিক হাল, তাতে বিজেপিকে রোখা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়।
একটি সংবাদ সংস্থাকে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন,'আমাদের আশা,দিল্লিতে আম আদমি পার্টির সরকার ফিরে আসবে। বিজেপিকে ওরা হারিয়ে দেবে। দিল্লির মানুষ বিজেপিকে হারাবে'। দিল্লিতে ত্রিমুখী লড়াইয়ে কংগ্রেসও রয়েছে। কিন্তু তৃণমূল চাইছে, আপের জয়।
বলে রাখি, 'ইন্ডিয়া' জোটের নেতৃত্ব দিচ্ছে কংগ্রেস। দিন কয়েক আগেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বের পক্ষে সওয়াল করেছে আপ, আরজেডি-সহ জোটের একাধিক শরিক দল। তার জেরে অস্বস্তিতে পড়ে কংগ্রেস। কারণ তারা নেতা হিসেবে রাহুল গান্ধীর নামই তুলে ধরেছে বারংবার। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে দিল্লিতে জোট করেছিল আম আদমি পার্টি এবং কংগ্রেস। কংগ্রেস তিনটি আসনে এবং আম আদমি পার্টি চারটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। এতে বিজেপির পারফরম্যান্সে কোনও ফারাক পড়েনি। দিল্লির ৭টি আসনই জিতেছে গেরুয়া শিবির।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের পুত্র সন্দীপ দীক্ষিতকে নয়াদিল্লি আসন থেকে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস। কালকাজিতে মুখ্যমন্ত্রী অতীশির বিরুদ্ধে অলকা লাম্বাকে টিকিট দিয়েছে কংগ্রেস। আবগারি কেলেঙ্কারি, সিএম হাউস, যমুনা পরিষ্কার, বায়ু দূষণ, রাস্তা, জল, স্বাস্থ্য এবং শিক্ষার মতো ইস্যুতে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে নিশানা করেছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। আম আদমি পার্টির দাবি, দিল্লিতে বিজেপির বি টিমের ভূমিকা পালন করছে কংগ্রেস।
৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে ভোটগ্রহণ। ৮ ফেব্রুয়ারি ফলপ্রকাশ। লোকসভা নির্বাচনে দিল্লিতে কংগ্রেস প্রার্থীদের হয়ে প্রচার করেছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এখন তিনি বলছেন, কংগ্রেসকে গুরুত্ব দেওয়ার দরকার নেই। দিল্লিতে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ছে আপ। কংগ্রেস কোনও ফ্যাক্টরই নয়। অন্যদিকে, কংগ্রেসের দাবি, দিল্লির ক্ষমতায় ফিরবে তারাই।