• 'শিশুকে দাবার বোড়ে হিসাবে ব্যবহার করবেন না' ডিভোর্স মামলায় মাকে সতর্ক করল আদালত
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৮ জানুয়ারি ২০২৫
  • ডিভোর্স নিয়ে আইনি লড়াই চলছে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্য়ে। আর সেই ডিভোর্স  মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্ট মঙ্গলবার ওই মহিলাকে জানিয়েছে, বাচ্চাকে দাবার বোরে হিসাবে ব্যবহার করবেন না। এটা বন্ধ করুন। না হলে বাচ্চাকে বাবার কাছে পাঠিয়ে দেব। 

    আসলে আদালত নিয়োজিত স্পেশাল অফিসার ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য ও শুভেন্দু সামন্তকে জানিয়েছেন ওই বাচ্চাটির মধ্য়ে কিছুটা ট্রমার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। এরপরই বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য মহিলার আইনজীবীকে বলেন, আপনার মক্কেল এই ডিভোর্সের মামলায় সুবিধা পাওয়ার জন্য বাচ্চাকে ব্যবহার করতে পারেন না। এটা একটা ব্ল্য়াকমেল। যতক্ষণ না তিনি স্বামীর কাছে ফিরে না যাচ্ছেন ততক্ষণ পর্যন্ত বাচ্চাটি বাবার সংসর্গ পাবে না। কতটা সাহস তাঁর! কে তিনি!

    আদালত জানিয়েছে, বাচ্চার কল্য়াণ তখনই রক্ষিত হবে যখন বাবা ও মা উভয়ের সঙ্গে একটা ভারসাম্যমূলক যোগাযোগ থাকবে। সেক্ষেত্রে বাবার কাছে কেন বাচ্চাকে পাঠানো হবে না তার কোনও কারণ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অন্তত সীমিত সময়ের জন্য। তবে ১৩ই জানুয়ারির মধ্য়ে নিজের অবস্থান জানানোর জন্য শেষ সুযোগ দিয়েছে আদালত। 

    বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়েছে, ওই শিশুকে প্রতি সন্ধ্যায় দু ঘণ্টার জন্য় বাবার কাছে নিয়ে যেতে হবে। ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত এটা করতে হবে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৮টা পর্যন্ত সে বাবার কাছে থাকবে। 

    আদালত জানিয়েছে, মা যেন কন্য়া আর বাবার মধ্যে না আসেন। এমনকী মা যেন সেই সময় না থাকেন। কেবলমাত্র সন্তানকে নিয়ে আসার সময় তিনি থাকবেন। 

    এদিকে স্পেশাল অফিসার কোর্টকে জানিয়েছিলেন যে অতীতে বাচ্চাটি বাবার কাছে যেতে চাইত না। ওই অফিসার জানিয়েছিলেন, মা সবসময় নানা ভাবে বোঝানোর চেষ্টা করতেন যে বাবার কাছে যাওয়াটা উচিত হবে না মেয়ের। এমনকী একটা সময় অফিসারের হাত কামড়ে দিয়েছিল ওই শিশু। আসলে শিশুটি হাত কামড়াতে চায়নি। মূলত সে তার ভয়টা প্রকাশ করেছিল যে সে বাবার কাছে যেতে চাইছে না। 

    এদিকে অফিসার জানিয়েছেন, গত ২৬শে ডিসেম্বর মা শিশুকে নিয়ে বাবার বিল্ডিংয়ের দরজার সামনে গিয়েছিলেন। এবং সেখানে গিয়ে তিনি ঝামেলা করেন। প্রতিবেশীদের সঙ্গে নিয়ে এসব করেছিলেন।আর সেই সময় তিনি ওই অফিসারকে চিহ্নিত করেছিলেন যে তিনিই বাচ্চাকে নিয়ে চলে যাচ্ছেন। 
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)