'মালদার বাবলা সরকার খুনে ৫০ লাখের সুপারি,' মূল চক্রী কারা? জানিয়ে দিল পুলিশ
হিন্দুস্তান টাইমস | ০৮ জানুয়ারি ২০২৫
মালদার তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার খুনে মূল চক্রী নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি ও স্বপন শর্মা। ৫০ লাখ টাকার একটি ডিল হয়েছিল। সব মিলিয়ে সাতজনকে গ্রেফতার হয়েছে। জানিয়ে দিল পুলিশ।
এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতীম সরকার ভবানী ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, '৫জনকে প্রথমে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এদেরকে জেরা করে একটি সূত্র পাওয়া যায়। তার উপর ভিত্তি করে নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি আর স্বপন শর্মা তাদের দুজনকে এসপির নেতৃত্বের রাতভর জেরা করা হয়। এরপর সকালে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। তদন্তের স্বার্থে যেটুকু বলা যাবে তার উপর ভিত্তি করে বলা হচ্ছে স্বপন শর্মা একজন কুখ্য়াত দুষ্কৃতী। তার বিরুদ্ধে অতীতে খুন, বোমাবাজির মতো অভিযোগ রয়েছে। পুরনো মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। স্বপন শর্মা ও নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি এই খুনের মূল চক্রী। ৫০ লাখ টাকার বিনিময়ে একটা সুপারি কিলিংয়ের বরাত দেওয়া হয়েছিল। চালক ছিল আসরাফ খান বলে একজন। তাকে এখনও ধরা যায়নি। তিনি গাড়িটি চালিয়ে এসেছিলেন। কৃষ্ণ রজক ও বাবলু যাদব এরা সার্বিক খুনের চক্রান্তে ছিল। এদের খোঁজা হচ্ছে। স্পেশাল টিম তৈরি করা হয়েছে। কেউ খোঁজ দিতে পারলে সন্ধানদাতাকে ২ লাখ টাকা পুরস্কার আছে জেলা পুলিশের তরফে। এই ঘটনার খুব দ্রুত চার্জশিট দেওয়া হবে। সর্বশক্তি প্রয়োগ করছে মালদা জেলা পুলিশ। খুনের মোটিভ নির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি।'
পুলিশ জানিয়েছে, এটা পরিকল্পিত খুন। তবে খুনের সম্ভান্য মোটিভ কী ছিল সেটা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। পাঁচজনকে জেরা করার সূত্রে এদের দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
দুলাল সরকার খুনে মূল চক্রী নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি ও স্বপ্ন শর্মা।
৫০ লাখ টাকার সুপারি দেওয়া হয়েছিল। তবে কী কারণে ৫০ লাখ টাকা দিলেন সেটা পরিষ্কার নয়। বিরাট দাবি পুলিশকর্তার।
সেই সঙ্গে সুপারি কিলার হিসাবে যাদের ভাড়া করা হয়েছিল তাদেরকে পুরো ৫০ লাখ দেওয়া হয়েছে কি না নাকি কিছু টাকা বাকি রয়েছে সেটা এখনও জানা যায়নি। তবে পুলিশ সবটাই দেখছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত কয়েকজনের বাড়ি বিহারের কাটিহারে।
তবে পলাতক দুজন স্থানীয় বাসিন্দা। তদন্ত এখনও শেষ হয়নি। পরবর্তীকে তল্লাশি হবে। তবে পুলিশ জানিয়ে দিয়েছে পুরোপুরি ছক কষে খুন করা হয়েছে।