• আরও এক কেলেঙ্কারি, রোগীদের লক্ষ লক্ষ টাকা চলে গিয়েছে হাসপাতালের কর্মীদের পকেটে
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৮ জানুয়ারি ২০২৫
  • রাজ্যে দুর্নীতির হরেকরকমবার মধ্যে এবার খাস কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে স্বাস্থ্যসাথীর টাকা তছরূপের অভিযোগ কর্মীদেরই একাংশের বিরুদ্ধে। তদন্ত করে বিষয়টির সত্যতা পাওয়ায় রোগীদের নগদের বদলে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়া শুরু করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তাতে টাকা দেওয়ার উদ্দেশ্য কতটা সাধিত হবে তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে।

    স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের অধীনে হাসপাতালে ভর্তি কোনও রোগী ছুটির সময় হাসপাতাল থেকে ২০০ টাকা পান। অভিযোগ, সেই টাকাই সরাচ্ছিলেন হাসপাতালের কর্মীদের একাংশ। সরকারি প্রক্রিয়া অনুসারে একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারের নজরদারিতে এই টাকা দেওয়া হয়। কলকাতা মেডিক্যালে সেই কাজটি করতেন এক চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর। টাকা দেওয়ার আগে রোগীকে একটি জায়গায় সই করে ফোন নম্বর লিখতে হয়। অভিযোগ সই করালেও সেখানে রোগীকে ফোন নম্বর লিখতে বলা হত না। পরে সেখানে নিজেদের পরিচিতদের ফোন নম্বর বসিয়ে দিতেন হাসপাতালের কর্মীদের একাংশ।

    স্বাস্থ্যসাথীতে ভর্তি রোগী ছুটির পরে বাড়ি যাওয়ার জন্য দেওয়া হয় এই ২০০ টাকা। মাসে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে এই খাতে বিলি হয় প্রায় ৯০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা। অভিযোগ, দিনের পর দিন সেই টাকার একটা বড় অংশ চলে গিয়েছে হাসপাতালের কর্মীদের একাংশের পকেটে।

    সম্প্রতি এই অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তদন্ত করে দেখা যায় যে ফোন নম্বর দেওয়া রয়েছে সেখানে ফোন করলে সেই রোগীকে পাওয়া যাচ্ছে না। এর পরই নগদের বদলে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু প্রান্তিক মানুষ হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরতে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা নিয়ে করবেন কী? কারণ তাদের অনেকের কাছে স্মার্টফোন নেই। ফলে অনলাইনে গাড়িভাড়া মেটানো তাদের পক্ষে সম্ভব নয়।

    হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপার অঞ্জন অধিকারী বলেন, অভিযোগ পেয়ে আমরা তদন্ত করেছি। তাতে দেখা গিয়েছে বহু ফোন নম্বরে সেই রোগীকে পাওয়া যাচ্ছে না। এর পর আমরা অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেজন্য কোনও রোগী ভর্তি হলেই তার অ্যাকাউন্ট নম্বর নিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

    ওদিকে বিজেপির দাবি, এটা স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের কাটমানি। খোঁজ নিয়ে দেখুন, এই টাকা কোনও না কোনও তৃণমূল নেতার পকেটে যায়। 
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)