বার্থ সার্টিফিকেটের জন্মদিন ‘নকল’, নিজের বয়স নিয়ে বিস্ফোরক দাবি মমতার
হিন্দুস্তান টাইমস | ০৮ জানুয়ারি ২০২৫
বার্থ সার্টিফিকেটে তাঁর বয়স পাঁচ বছর বাড়ানো রয়েছে। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ছাত্র সপ্তাহ উজ্জাপন অনুষ্ঠানে যোগদান করে এমনই দাবি করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, সরকারি ভাবে তাঁর যে জন্মদিন পালন করা হয় তাতেও খুশি নন তিনি। সেই জন্মদিনও ‘নকল’ বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন মমতা বলেন, ‘সবাই আমার জন্মদিন জন্মদিন করে। আমি মনে করি আমি এখনও জন্মাইনি। আসলে আমরা সব হোম ডেলিভারি তো। আমি আমার নামও নিজে দিইনি, বয়সও নিজে দিইনি, পদবিও নিজে দিইনি। অনেকে আমাকে হ্যাপি বার্থডে বলে। কিন্তু দিনটা আমার মোটেই পছন্দকর নয়। ওটা সার্টিফিকেটে বাবা মা করে দিয়ে গেছে।’
অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাদা। তাঁর কথা উল্লেখ করে মমতা বলেন, ‘আমি জানতামও না। আমি যখন কলেজে পড়ি তখন দাদা একদিন বলল। দাদা এখানে উপস্থিত আছে বলে বললাম। দাদা আমাকে বলল, তুই কি জানিস বাবা কী করে তোর বয়স দিয়েছে? আমি বললাম, কী করে? বলল, সার্টিফিকেটে তোর আর আমার বয়সের মধ্যে ৬ মাসের পার্থক্য। আমি বললাম দারুন। তাহলে তোকে ভর্তি করতে গিয়ে বয়সটা কী করে দিল? বলল, বাবা গেল স্কুলে। একটা বন্ধু ছিল হেডমাস্টার। তাকে বললেন, তুমি একটা বসিয়ে দেও। তার তো কোনও দোষ নেই, তিনি একটা বসিয়ে দিলেন। আগেকার দিনে এই সমস্যাটা ছিল যারা আমরা বাড়িতে জন্মেছি। হোম ডেলিভারি। তাদের আসল বয়সটা লুকিয়ে থাকে। নকল বয়সটা, সার্টিফিকেটের বয়সটা মানুষ ধরে নেয়। আমার বাড়ানোও আছে ৫ বছর। আমি একটা বইতে লিখেছি এগুলো। অনেকদিন আগে।’
সরকারি নথি অনুযায়ী ১৯৫৫ সালের ৫ জানুয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিন। দিন কয়েক আগে তাঁর জন্মদিন পালন করেছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। সরকারি হিসাব অনুসারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বয়স ৭০ বছর। রাজনৈতিক জীবনের সায়াহ্নে অবস্থান করছেন তিনি। তাই কি নিজের বয়সকেই চ্যালেঞ্জ করে অবসরের জল্পনা নাকচ করার চেষ্টা করলেন তৃণমূল নেত্রী।