• জলপাইগুড়ি থেকেও রোগী হাজির ‘সেবাশ্রয়’-এ, এক সপ্তাহে কত মানুষ পরিষেবা পেলেন?
    এই সময় | ০৯ জানুয়ারি ২০২৫
  • এক সপ্তাহে এক লক্ষ মানুষ পরিষেবা পেলেন ‘সেবাশ্রয়’-এ। ২ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছিল এই ‘দুয়ারে চিকিৎসা’ পরিষেবা কর্মূসচি। শুরুর দিন থেকেই লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে শিবিরে যোগদানকারী মানুষের সংখ্যা। শুধু ডায়মন্ড হারবার বিধানসভা থেকেই এক সপ্তাহে এক লক্ষের বেশি মানুষ প্রাথমিক চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়ায় খুশি সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবায় এটি একটি ‘রেকর্ড’ তৈরি করল বলেও দাবি করলেন তিনি। 

    অভিষেক তাঁর এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘আমাদের ডাক্তার, নার্স, স্বেচ্ছাসেবক, ল্যাব টেকনিশিয়ান এবং প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত সকলের নিরলস প্রচেষ্টা ছাড়া এই অবিশ্বাস্য কাজ সম্ভব হতো না। জনগণের সেবায় আপনাদের অটুট নিষ্ঠা ও অঙ্গীকারই এটা সম্ভব করেছে। এটি একটি সর্বকালীন রেকর্ড।’

    উল্লেখ্য, মঙ্গলবারের তুলনায় প্রায় ৮ হাজার ‘ফুট ফল’ বেশি হয়েছে বুধবার। ‘সেবাশ্রয়-এর উদ্যোক্তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বুধবার ডায়মন্ড হারবার বিধানসভার অন্তর্গত  ৪১টি শিবিরে মোট ৩০,৮৮৩ জনের উপস্থিতি ছিল। এর মধ্যে ১০,৭০৮ জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। ১০,১৮৩ জন সাধারণ মানুষ চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী বিনামূল্যে ওষুধ পেয়েছেন স্বাস্থ্য শিবিরগুলি থেকে।

    ‘সেবাশ্রয়’-এর জনপ্রিয়তা ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্র থেকে ছাড়িয়ে প্রভাব ফেলেছে অন্যান্য জেলাতেও। তারই প্রমাণ মিলেছে এ দিন। জলপাইগুড়ি থেকে নিজের দু’বছরের শিশুকে নিয়ে এসেছিলেন সাইদ হোসেন। জন্ম থেকেই শ্রবণ ও বাকশক্তিহীন শিশুটি। সমাজমাধ্যমে এই স্বাস্থ্য শিবিরের খবর জানতে পেরে শিশুটির বাবা-মা ডায়মন্ড হারবারের একটি স্বাস্থ্য শিবিরে আসেন। শিশুটির বিনামূল্যে অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা করে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। 

    সাইদ হোসেন বলেন, ‘আমি জলপাইগুড়ি থেকে এসেছি। গত সাত মাস ধরে আমি আমার সন্তানের চিকিৎসা করাচ্ছি। আমাদের জানানো হয়েছিল যে একটি অপারেশন প্রয়োজন। আমার সন্তান দু’টি কানেই শুনতে পারে না। এখানে আসার পর ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলি। বিনামূল্যে অস্ত্রোপচার করে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হলো।’

  • Link to this news (এই সময়)