গঙ্গাসাগর মেলার জন্য বড় উদ্যোগ পরিবহন দপ্তরের, চলবে অতিরিক্ত বাস, লঞ্চ
আজকাল | ০৯ জানুয়ারি ২০২৫
মিল্টন সেন,হুগলি: রাজ্য পরিবহন দপ্তরের উদ্যোগে গঙ্গাসাগরে চলবে অতিরিক্ত বাস। বাড়ছে লঞ্চ পরিষেবা। দুর্ঘটনা এড়িয়ে নিরাপদে যাত্রী পারাপারের জন্য ভেসেলে লাগানো হবে ফগ লাইট। এছাড়াও যাত্রী সুবিধার্থে থাকছে আরও নানান ব্যবস্থা, একথা জানিয়েছেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী।
সোমবার গঙ্গাসাগর মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সাগরে পূন্য স্নান হবে আগামী ১৪ জানুয়ারী। গঙ্গা সাগরে ভিড় জমবে সাধু সন্ন্যাসী থেকে সাধারন পূন্যার্থীদের। এই প্রসঙ্গে বুধবার রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী বলেছেন, গঙ্গা সাগরে প্রায় এক কোটি পূণ্যার্থীর সমাগম হয়েছিল। গঙ্গাসাগর মেলাকে জাতীয় মেলা হিসেবে ঘোষণা করার জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল। স্বভাবসিদ্ধ ভাবেই বাংলার সেই আবেদনে কোনও সদর্থক বার্তা দেয়নি কেন্দ্র সরকার। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সক্রিয় উদ্যোগ গঙ্গাসাগর মেলা আধুনিক এবং প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত একটা মেলায় রূপান্তরিত করেছে। এবার গঙ্গা সাগর যাত্রীদের জন্য বাস বাড়ানো হয়েছে। বাস যাতায়াতের সংখ্যা বাড়িয়ে প্রতিদিন ২ হাজার ২৫০ বার চালানোর ব্যাবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও চলবে ৩২ টি ভেসেল এবং ১০০ টি লঞ্চ। গত বছর তিনটে বার্জ ছিলো। এই বছর সেই সংখ্যা বাড়িয়ে দশটি করা হয়েছে। এক একটি বার্জ দুই থেকে আড়াই হাজার মানুষ পারাপার করতে সক্ষম। পূণ্যার্থীদের যাতায়াতের জন্য ২১ টি জেটি করা হয়েছে। যা ব্যবহার করে নির্বিঘ্নে এক সঙ্গে বহু সাধারণ মানুষ পারাপার করতে পারবেন।
রাজ্য পরিবহন দপ্তরের তরফে কচুবেড়িয়া থেকে মেলা প্রাঙ্গন পর্যন্ত যাতায়াতের জন্য বেসরকারি বাসকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তারা ওই পথে যাত্রী পরিবহন করবে।এছাড়া ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স, এয়ার অ্যাম্বুলেন্স এবং হেলিকপ্টারের মাধ্যমে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁদের উদ্ধার করে কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে আসার ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে। গত বছরও অসুস্থ ১৩ জনকে হেলিকপ্টারে উদ্ধার করা হয়েছিল। যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে এবার আরও অনেক সুবিধা পাবেন যাত্রীরা। বাবু ঘাট থেকে সরাসরি কচুবেড়িয়া, সেখান থেকে মেলা পর্যন্ত একটি টিকিটেই যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কুয়াশার সময় ভেসেল পারাপার করতে সমস্যা হয় বহুসময়। মন্ত্রী আশাবাদী, এবার আর সেই সমস্যা থাকবে না। কারণ, ভেসেলে ফগ লাইট লাগানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেলার সময় ইন্টারনেটেরও সমস্যা থাকে। রাজ্য সরকারের তরফে বিভিন্ন টেলিকম নেটওয়ার্কের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। আশা, এবার ইন্টারনেট পরিষেবা ঠিকঠাক কাজ করবে।