অনুপ কুমার দাস: গণধর্ষণের পর আত্মঘাতী মহিলা,অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা নিষ্পত্তি হল। দোষী সাব্যস্ত পাঁচ অভিযুক্ত। দুটি ধারায় দুইরকম সাজা হয়, একটিতে ১০ বছর, আর একটিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
জানা যায়, ওই গৃহবধূ গণধর্ষণের পর, লোকলজ্জার ভয়ে আত্মঘাতী হয়েছিলেন। সেই গণধর্ষণ ও আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার মামলায় অভিযুক্ত পাঁচ যুবককে বুধবার দোষী সাব্যস্ত করে কৃষ্ণনগর ফাস্ট ট্রাক আদালতের বিচারক দেবদীপ মান্না। জানা যায়, ২০২১ সালের ৪ এপ্রিল ঘটনাটি ঘটেছিল কৃষ্ণনগরে। সেই সময় খ্রিস্টানদের বিশেষ উৎসব চলছিল। গোটা এলাকা তাতে মেতেছিল। সেই সময় ওই যুবকদের একজন মহিলাকে তার বন্ধুর নাম করে পাশের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়।
সেখানে কেউ ছিল না। ফাঁকা বাড়িতে মহিলার বন্ধু ও চারজন মিলে গণধর্ষণ করে। গোটা ঘটনা বাড়ি ফিরে তাঁর স্বামীকে জানান। শেষ পর্যন্ত সামাজিক সম্মানহানির ভয়ে নিজের ঘরে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মঘাতী হয়। চলতি বছরে ৮ জানুয়ারি, বুধবার জেলা ও দায়রা আদালত থেকে পাঁচজনকে দোষীকে সাজা ঘোষণা হল। যাবৎজীবন কারাদণ্ড,তার সঙ্গে কুড়ি হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায় আরও ৬ মাসের জেল হেফাজত। দ্বিতিয় ধারায় ১০ বছর জেল, দুটি সাজা একসঙ্গে চলবে।
উল্লেখ্য, গত বছর ফরাক্কায় নাবালিকার খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় মূল দোষী ৩৫ বছরের দীনবন্ধু হালদারকে ফাঁসির সাজা শোনায় আদালত। একইসঙ্গে, এই পৈশাচিক অপরাধে দীনবন্ধুর সঙ্গী ২৩ বছরের শুভজিৎ হালদারকেও কঠোর সাজা শোনানো হয়। আদালতের নির্দেশ, তাকে যাবজ্জীবন কারাবাসেই কাটাতে হবে।