জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: খাতায়-কলমে জোট শরিক। কিন্তু বাস্তবে কি দূরত্ব বাড়ছে? 'রাজ্য়সভা থেকে পদত্যাগ করে দেওয়া উচিত', সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে এবার পাল্টা দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার। বললেন, 'কংগ্রেস বিধায়কদের সমর্থন নিয়ে তিনি রাজ্যসভায়। আমাদের প্রত্যেকের কিছু রাজনৈতিক ব্যাকরণ মানা প্রয়োজন'।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, 'বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য শ্রদ্ধেয় মানুষ, বিশিষ্ট আইনজীবী। আমি শ্রদ্ধা করি। তিনি অহেতুক এই সময়ে এই প্রশ্ন তুলেছেন। আমার মনে হয়, এই সব প্রশ্ন তোলার আগে রাজ্য়সভা থেকে পদত্যাগ করে দেওয়া উচিত। কংগ্রেস বিধায়কদের সমর্থন নিয়ে উনি রাজ্যসভায়। আমাদের প্রত্যেকের কিছু রাজনৈতিক ব্যাকরণ মানা প্রয়োজন। বহু কংগ্রেস নেতা আমাকে বলেছেন। আমি কাউকে কোনও বয়ান দিতে বারণ করেছি। কংগ্রেসের আরএসএস লোক আছে বলছেন, তিনি আরএসএসের হয়ে কাজ করছেন না, এটা যদি কংগ্রেসের থেকে বলে কোনও অন্যায় হবে কি'?
কী বলেছেন বিকাশরঞ্জন? বিজেপির বিরুদ্ধে এখন জোট কংগ্রেস ও সিপিএম। সম্প্রতি জি ২৪ ঘণ্টায় প্রবীণ বামনেতা, কলকাতার প্রাক্তন মেয়র বলেন, 'রাজনৈতিক সমীকরণ পরিবর্তন হয়। সামাজিক পরিস্থিতি পরিবর্তন হয়। সেই সমস্ত পরিবর্তিত পরিস্থিতির উপর দাঁড়িয়ে রাজনৈতিক সমীকরণও বদলায়। রাজনৈতিক সমীকরণ বদলেছে মানেই যে অতীতের ঘটনাগুলি ইতিহাস থেকে মুছে যায়, তা তো নয়। উপেক্ষা করতে পারব যে, ইন্দিরা গান্ধীর আমলে যে ইমার্জেন্সি হয়েছিল, ইর্মাজেন্সি তো অত্যন্ত কালো অধ্যায়। আমি তো সংসদে ৩ মিনিটের সময়ের মধ্যে একথা বলেছি। সাংবিধানিক ইতিহাসে ইর্মাজেন্সি একটা কালো দাগ। পাশাপাশি, ইন্দিরা গান্ধী ক্ষমা চেয়েছেন, সেটাও বলেছি। এটা ঐতিহাসিক ঘটনা'।
বিকাশরঞ্জনের আরও বক্তব্য, 'কংগ্রেসের মধ্যে একদল মানুষ আছে, যাঁরা প্রকৃত পক্ষে আরএসএসের দিকেই মতামত প্রকাশ করছেন। যাঁর বিরুদ্ধে রাহুল লড়াই করছেন। সাঁইবাড়ির ঘটনা নিয়ে দক্ষিণপন্থার পক্ষ থেকে বামপন্থীদের বিরুদ্ধে অনেক কুত্সা অপপ্রচার করা হয়েছে। সেটা কংগ্রেসের দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে হয়নি। কংগ্রেসের সেসময়ে যে ভূমিকা ছিল, সেই ভূমিকা তত্কালীন সময়ে স্বৈরাচারী ভূমিকা ছিল। তাঁর বিরুদ্ধে সিপিআইএমের লড়াই, সেই লড়াই আজও চলছে। কিন্তু আজকে লড়াইয়ের প্রেক্ষিতটা পালটে গিয়েছে'।