‘ডিজিটাল গ্রেপ্তার’-এর শিকার হলেন এ বার বর্ধমানের এক সাধু বাবা। প্রতারকদের। ভিডিয়ো কলে প্রতারকরা জানান, সাধু বাবার নামে নাকি সতেরোটি মামলা আছে। আয়ের উৎস কী জানতে চাওয়া হয় সাধু বাবার কাছে। সাধু বাবা প্রতারকদের জানান, আশ্রমে মানুষের দান থেকেই যেটুকু আসে, তা দিয়েই দিন যাপন করেন তিনি। সাধু বাবার কথায় সম্বিত ফেরে প্রতারকরা। তড়িঘড়ি ফোন কেটে দেয় প্রতারকরা। যদিও, বুধবারের এই ঘটনায় কিছুটা হলেও আতঙ্কিত পূর্ব বর্ধমানের পালিতপুরের আশ্রমের সাধক অশোক চক্রবর্তী।
জানা গিয়েছে, বর্ধমান শহরের কাছে পালিতপুর একটি আশ্রমে থাকেন অশোক। এলাকাবাসীর কাছে ‘সাধু বাবা’ হিসেবেই পরিচিত তিনি। সেই সাধকও এ বার পড়লেন ডিজিটাল জালিয়াতদের খপ্পরে। অশোক জানান, তাঁকে মঙ্গলবার সকালে একটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন করা হয়। ফোনে তাঁকে মহারাষ্ট্রের তিলকনগর থানার পুলিশ আধিকারিকের ফোন নম্বর দিয়ে ফোন করা হয়।
ফোনে তাঁকে জানানো হয়, ‘আপনার নামে তিলকনগর থানায় ১৭টি মামলা রয়েছে। কিছুক্ষণ পর আপনার ফোন আর চলবে না। আমরা ফোন কোম্পানি থেকে কল করছি। আপনাকে একটু বাদে ভিডিয়ো কল করা হবে।’ এর পর তাঁকে ভিডিয়ো কলও করা হয়। সেখানেই জানতে চাওয়া হয়, আপনার আয়ের উৎস কী? কোথায় থাকনে? সাধুবাবা বলেন, ‘আমার কোনও সম্পত্তিও নেই। যারা আশ্রমে আসে, তাঁরা যা দেয়, সেই দিয়ে চলে যায়।’ আশ্রমটি ঘুরিয়ে ভিডিয়ো করে দেখান সাধু বাবা। এর পরেই প্রতারকরা বুঝতে পারে, ভুল জায়গায় ফাঁদ পেতেছে তারা।
পুলিশের বেশধারী ওই ব্যক্তি এর পর ফোন কেটে দেয়। যদিও, ঘটনার পর থেকেই বেশ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘আমাকে না হয় ছেড়ে দিয়েছে। কিন্তু, অনেককেই তো এ ভাবে ঠকিয়ে নিতে পারে। পুলিশ প্রশাসন এর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিক।’