বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পশ্চিম মেদিনীপুরে সমবায় নির্বাচনে জয় তৃণমূল কংগ্রেসের। বিরোধীদের দাবি, ভয় দেখিয়ে মনোনয়ন তুলে নেওয়া হয়েছে। প্রায় সাত বছর পর মুড়াকাটা সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি ফের দখলে রাখল রাজ্যের শাসক দল।
জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে শেষ বার নির্বাচন হয়েছিল। ২০২২ সালে যার মেয়াদ শেষ হয়। গত দু'বছর ধরে প্রশাসক নিয়োগ করে চালানো হচ্ছিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর গ্রামীণের মুড়াকাটা সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি। সম্প্রতি, রাজ্যের সমবায় দপ্তরের তরফে সমবায় সমিতিগুলিতে নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। বুধবার ছিল মুড়াকাটা সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির মনোনয়ন পত্র স্ক্রুটিনির দিন। স্ক্রুটিনির পর দেখা যায়, তৃণমূল সমর্থিত ৫০ জন প্রার্থী ছাড়া আর কোনও প্রার্থীই নেই! স্বাভাবিকভাবেই সম্পূর্ণ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূল সমর্থিত এই ৫০ জন প্রার্থী সমবায় সমিতির ৭টি জোন থেকে জয়ী হয়েছেন।
বুধবার বিকেলে মেদিনীপুর শহরের জেলা কার্যালয়ে বিজয়ী প্রার্থীদের নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন মেদিনীপুরের বিধায়ক তথা তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা। তিনি বলেন, ‘এই নিয়ে টানা তিনবার মুড়াকাটা সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি দখল করলাম আমরা। সরাসরি এই নির্বাচনের সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক দল যুক্ত না থাকলেও আমাদের মনোনীত ৫০ জন প্রার্থীই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। বিরোধীদের তরফে কয়েকজন প্রার্থী দেওয়া হলেও, শেষ পর্যন্ত তাঁরা নমিনেশন প্রত্যাহার করেছেন।’
বিরোধীদের ভয় দেখানোর দাবি নিয়ে সুজয় বলেন, ‘আমাদের জেলাতে কখনও এই ধরনের কিছু করা হয়নি। কোনও নির্বাচনেই করা হয়নি।’ যদিও তৃণমূলের দাবি মানতে নারাজ বিজেপি। বিজেপির জেলা মুখপাত্র অরূপ দাস বলেন, ‘হাস্যকর কথাবার্তা বলছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি। আমাদের সমর্থক বেশ কয়েকজন মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন এবং আরও কয়েকজন ভেবেছিলেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বিষয়ে। কিন্তু, বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে তাঁদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। একটা ভয় ও আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করে মনোনয়ন প্রত্যাহার করানো হয়েছে।’