• ‘বাবলাকে মেরে ফেলব, আগেই বলেছিল নন্দু’ 
    বর্তমান | ০৯ জানুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি ও সংবাদদাতা মালদহ: তৃণমূল নেতা বাবলা সরকারকে খুন করার কথা আগে থেকেই বলতেন ধৃত নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি (নন্দু)। বুধবার সংবাদমাধ্যমের সামনে এই বিস্ফোরক দাবি করেন ইংলিশবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী। এক প্রভাবশালী যে নন্দুকে মদত দিতেন, এদিন সে কথাও জানান কৃষ্ণেন্দু। তবে কে সেই প্রভাবশালী, সেই নাম প্রকাশ্যে আনতে চাননি। যা বলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই জানাবেন বলে এদিন সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন পুর চেয়ারম্যান।


    নন্দু ও স্বপন শর্মার গ্রেপ্তারির খবর ছড়াতেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন কৃষ্ণেন্দু। তাঁর কথায়, পুলিসের তদন্ত একেবারে ঠিক পথে এগচ্ছে। ভাই, আত্মীয়দের নিয়ে এলাকা দখলের চেষ্টা করত নন্দু। দুলাল ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার হয়ে গেল। নন্দু দাঁড়াতে পারেনি বলে রাগ ছিল। ওদের মধ্যে ঝামেলাও চলছিল। পুরসভা নির্বাচন মিটে যাওয়ার পরে ২০২২ সালে ওদের মধ্যে প্রবল সংঘাত হয়। সেই সময় বাবলার পক্ষ নিয়েছিলাম। নির্দিষ্ট জায়গায় জানিয়েছিলাম, নন্দু এসব করছে। তবে কেউ কেউ সেই সময় নন্দুকে মদত দিচ্ছিল। আমরা পুলিস সহ সব মহলেই বিষয়টি জানিয়েছিলাম।


    এরপরেই কৃষ্ণেন্দুর মন্তব্য, নন্দু অনেককেই বলেছিল, আমি দুলালের শেষ দেখব। আমি দুলালকে মারবই। যাঁদের নন্দু এসব বলেছিল, তাঁরাও স্বাভাবিকভাবে পুলিসকে সব বলেছেন। এছাড়াও আরেক ধৃত স্বপন শর্মা প্রাক্তন সিপিএম মন্ত্রী শৈলেন সরকার নিযুক্ত ‘কন্ট্রাক্ট কিলার’ বলেও দাবি করেন কৃষ্ণেন্দু। তবে জেলা সিপিএম ওই অভিযোগ উড়িয়ে বিষয়টিকে শৈলেনবাবুর সম্মানহানির চেষ্টা বলে মন্তব্য  করেছে। কৃষ্ণেন্দু বলেন, স্বপন শর্মা একাধিক বার আমার উপর প্রাণঘাতী আক্রমণ করেছে। আমার বন্ধুকে খুন করেছে। আমার গাড়িতে গুলিও করে। স্বপন ও নন্দু একসঙ্গে এই ঘটনা ঘটিয়ে দিল। এক প্রভাবশালী নন্দুকে মদত দিতেন বলে এদিন দাবি করেছেন কৃষ্ণেন্দু। তাঁর কথায়, ওই প্রভাবশালীর প্রভাবেই বাবলার নিরাপত্তারক্ষী প্রত্যাহার করা হয়েছিল। দুলাল কাউন্সিলার হওয়ায় প্রতিপত্তি বাড়ছিল বলেই তাঁকে খতমের ষড়যন্ত্র শুরু হয়।


    বাবলার স্ত্রী চৈতালি সরকারও বুধবার বলেন, শুনেছিলাম স্বামী পুরসভার চেয়ারম্যান হতে পারেন। তাতে তাঁর ক্ষমতা, জনপ্রিয়তা আরও বাড়ত। এতে শঙ্কিত হয়ে কেউ তাঁকে খুনের ছক কষতে পারে। চৈতালির বক্তব্য প্রসঙ্গে কৃষ্ণেন্দু বলেন, আমি বাবলাকে প্রথম কাউন্সিলার করেছিলাম। ভাইস চেয়ারম্যানও করেছি একাধিকবার। 


    এদিন কলকাতায় রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, মিডিয়া নয়, আদালত ঠিক করুক অপরাধী কে। ছোট, বড় মাথা বলে কিছু হয় না। পুলিস প্রমাণ নিয়ে আদালতে যাবে। সেই অনুযায়ী দোষীরা শাস্তি পাবে।  
  • Link to this news (বর্তমান)