বাংলার বাড়ি: উপকরণ কেনার সময় হয়রানি রোধে বিডিওকে সমন্বয়ের দায়িত্ব নবান্নের
বর্তমান | ০৯ জানুয়ারি ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বাংলার বাড়ি প্রকল্পের ১২ লক্ষ উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকে গিয়েছে প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা। কিন্তু কতদিনের মধ্যে বাড়ি তৈরির কাজ শেষ করতে হবে? কাজ কতটা এগলে তাঁরা দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পাওয়ার যোগ্য হবেন? এসব জানিয়েই সব জেলাকে একটি চিঠি পাঠাল রাজ্য পঞ্চায়েত দপ্তর। আর এই চিঠির সঙ্গেই দেওয়া হল এই সংক্রান্ত নিয়মাবলি (এসওপি)। ওই অনুযায়ী, ৩-৬ মাসের মধ্যে প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ করতে হবে, তবেই মিলবে শেষ কিস্তির টাকা। তবে ওই টাকা পাওয়ার তিনমাসের মধ্যেই সম্পূর্ণ করে ফেলতে হবে বাড়ি তৈরির কাজ। রাজ্যের দেওয়া টাকার সদ্ব্যবহার সুনিশ্চিত করতে কড়া নজরদারিরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলা স্তরের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ব্লক এবং গ্রাম পঞ্চায়েতকেও প্রত্যেক মাসে অন্তত একবার বাড়ি তৈরির কাজ পরিদর্শন করে রিপোর্ট দিতে হবে। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই হবে অ্যাপের মাধ্যমে জিও ট্যাগিং।
বাড়ি তৈরির উপকরণ দেওয়ার নামে যাতে কেউ ঠকাতে না পারে, সেই বিষয়েও বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করেছে রাজ্য। সেক্ষেত্রে বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিডিওদের। অতীতে কেন্দ্রীয় সহায়তাপ্রাপ্ত আবাস প্রকল্পের ক্ষেত্রে সামগ্রী সরবরাহের নামে উপভোক্তাদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল এলাকার কিছু ‘দাদা-নেতা’র বিরুদ্ধে। ওই অনাচারের পুনরাবৃত্তি রাজ্য আর চায় না। আর সেই কারণেই দায়িত্বটি সরাসরি দেওয়া হয়েছে বিডিওদের। তাঁদের নিজ নিজ এলাকায় মার্কেট কমিটি ও বাড়ি তৈরির সামগ্রীর বিক্রেতাদের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলে উপভোক্তাদের সহযোগিতা করবেন তাঁরা। প্রয়োজনে স্থানীয় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদেরও সহায়তা নিতে পারবেন বিডিওরা—জানানো হয়েছে এসওপি’তে। তবে তার আগে জেলাশাসকরা ইট, বালি, স্টোনচিপ এবং অ্যাসবেস্টস সরবরাহকারীদের সঙ্গেও বৈঠকে বসবেন। অন্য কারও সহযোগিতা না নিয়ে উপভোক্তারা যাতে নিজেরাই বাড়ি তৈরির কাজটি করেন, সুনিশ্চিত করতে বলা হয়েছে তাও।