সর্বাঙ্গে মারধরের চিহ্ন, বাংলাদেশ থেকে ফিরলেও মৎস্যজীবীদের আতঙ্ক কাটছে না
বর্তমান | ০৯ জানুয়ারি ২০২৫
সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ: আন্তর্জাতিক জল সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছিল ৯৫ মৎসজীবী। তাদের আটক করেছিল বাংলাদেশের উপকূলরক্ষী বাহিনী। প্রায় তিন মাস সে দেশে আটক থাকার পর অবশেষে স্বদেশে ফিরলেন মৎস্যজীবীরা।
তবে বাড়িতে ফিরেও শান্তিতে ঘুমোতে পারছেন না। প্রত্যেকেই কমবেশি অসুস্থ। রাত হলেই যন্ত্রণায় ছটফট করছেন। চিৎকার করছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন। তারপর বুধবার সকালে মৎস্যজীবীদের চিকিৎসার জন্য কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রায় ২০ জন হাসপাতালে পৌঁছে চিকিৎসা করান। তাঁদের অভিযোগ, ‘বাংলাদেশের উপকূলরক্ষী বাহিনী ও পুলিস তাঁদের উপর লাগাতার অত্যাচার চালিয়েছে। হাত পা বেঁধে রেখেছিল। মোটা ধরনের লাঠি দিয়ে মারধর করেছে। এমনকি কয়েকজনকে পা বেঁধে ঝুলিয়ে মুখে কাপড় গুঁজে মারধর করেছে। তাঁদের ঠিক মতো খেতে দেওয়া হতো না। তেষ্টার জলটুকুও দিত না। অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করা চলত সর্বক্ষণ।’ মৎস্যজীবী সুভাষ দাস বলেন, ‘এখনও হাতে ও পায়ে খুব ব্যথা। যন্ত্রণা করছে। কয়েকজন ঠিকমতো হাঁটতে পারছেন না। বাংলাদেশে প্রত্যেকের উপর ভয়ানক অত্যাচার করা হয়েছে। হাত-পা বেঁধে মারধর করা হয়েছে। এমন ব্যবহার করা হতো যা জনসমক্ষে বলার মতো নয়।’ তাঁদের বক্তব্য, ‘এখনও রাতে ঘুমোতে গেলে সে কথা মনে পড়ছে। আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে পারছি না। তবে একটাই শান্তি, বাড়ি ফিরতে পেরেছি। সরকার মৎস্যজীবীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে। কাকদ্বীপ হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।’ এবিষয়ে কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণেন্দু রায় বলেন, ‘মৎস্যজীবীদের শরীরে মারধরের চিহ্ন মিলেছে। ফোলা অবস্থায় রয়েছে শরীরের অনেক অংশই। চিকিৎসা চলছে। আশা রাখছি, সবাই খুব শীঘ্র সুস্থ হয়ে উঠবেন।’