• ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’-তে অভিযোগ হতেই ২০০০ কিমি রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ জেলা প্রশাসনের
    বর্তমান | ০৯ জানুয়ারি ২০২৫
  • শ্যামলেন্দু গোস্বামী, বারাসত: কেন্দ্রীয় বঞ্চনা সত্ত্বেও গ্রামীণ এলাকার রাস্তাঘাটের উন্নতির জন্য রাজ্য সরকার ‘পথশ্রী’ প্রকল্প চালু করেছে। এর মাধ্যমে উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় কয়েক হাজার রাস্তার সংস্কার হয়েছে। তারপরও বহু রাস্তার সংস্কার বাকি। স্থানীয় প্রশাসনকে বারবার বলেও কাজ না হওয়ায় অনেকে ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’র টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করে এসব রাস্তা সংস্কারের দাবি জানিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত তাতেই কাজ হতে চলেছে। এলাকাবাসীর ফোনের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে দু’হাজার কিলোমিটারের বেশি রাস্তার সমীক্ষা করানো হয়েছে। তার রিপোর্টও জমা পড়েছে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরে। এখন অপেক্ষা কেবল অনুমোদনের। তারপরেই উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় আরও প্রায় আড়াই হাজার রাস্তা সংস্কারে হাত দেবে দপ্তর। এই সূত্রেই প্রশ্ন  উঠেছে, সামান্য রাস্তার কাজের জন্য কেন ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’-তে ফোন করতে হবে? তার আগেই কেন রাস্তা চিহ্নিত করে মেরামতির উদ্যোগ নেবে না স্থানীয় প্রশাসন? নবান্নে টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করা অনেকে বলছেন, ব্লকস্তর থেকে আগেই যখন সমীক্ষা হয়েছিল, তখন বহু রাস্তা খারাপ থাকা সত্ত্বেও সংস্কারের তালিকায় রাখা হয়নি। তার জন্যই এত মানুষ ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’-তে ফোন করে সাহায্য চেয়েছেন। 


    ২০২৩ সালের ৮ জুন থেকে চালু হয়েছিল ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ পরিষেবা। একেবারে নিচুতলার সমস্যাগুলি দ্রুত সমাধানের জন্য এই কর্মসূচি চালু করা হয়। সূত্রের খবর, সরকারি উদ্যোগে সমস্যা সমাধানের আশায় প্রায় চার হাজার রাস্তা নিয়ে অভিযোগ জমা পড়ে জেলা থেকে। রিপোর্ট পৌঁছয় জেলা প্রশাসনের কাছে। সেই মতো রাস্তাগুলির ব্লকভিত্তিক সমীক্ষার কাজ শুরু হয়। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, চার হাজারের বেশি রাস্তা সংস্কারের আবেদন জমা পড়ে নবান্নে। এর মধ্যে ২৪০০টি রাস্তা সংস্কারের প্রয়োজন আছে বলে বলে মনে করছে প্রশাসন। বেশ কিছু স্বল্পদৈর্ঘ্যের রাস্তা, ব্যক্তিগত সম্পত্তির অভ্যন্তরের রাস্তা সংক্রান্ত আবেদনগুলি বাদ দেওয়া হয়েছে। যে ২৪০০টি রাস্তার সংস্কার হবে বলে ঠিক হয়েছে, তার মিলিত দৈর্ঘ্য প্রায় ২০০০ কিলোমিটার। ব্লকস্তর থেকে তথ্য নেওয়ার পর জেলা প্রশাসন তা নবান্নে পাঠিয়ে দিয়েছে গত ডিসেম্বরেই। দপ্তর থেকে সবুজ সঙ্কেত এবং টাকার অনুমোদন এলেই টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে বলে খবর। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘আশা করা যায়, দ্রুত রাজ্য সরকার রাস্তা সংস্কারের অনুমোদন দেবে। জেলায় সিংহভাগ রাস্তার সংস্কার হয়ে গিয়েছে। কিছু ছোটখাটো রাস্তা নিয়ে অভিযোগ জমা পড়েছিল। সেগুলিও এবার করে দেওয়া হবে।’ 
  • Link to this news (বর্তমান)