বুধবার রাজ্যের তরফে ধনধান্য স্টেডিয়ামে পড়ুয়াদের নিয়ে ছাত্র সপ্তাহ উদযাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এই অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা, যেমন স্কলারশিপ, খাতা–বই বিতরণ, কন্যাশ্রী, সবুজ সাথীর সাইকেল ইত্যাদি প্রদান করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ সহ মন্ত্রী ও বিধায়করা। মমতা এদিন দাবি করেন, বাংলায় কাজের কোনও অসুবিধা নেই। তাঁর কথায়, ‘বাংলায় কাজের অসুবিধা নেই। বাইরে পড়তে হলে পড়ো, পড়ে চলে এসো।’
এই মঞ্চ থেকে মমতা জানান, তিনি কন্যাশ্রী প্রকল্পে এক কোটির মাইলফলক ছুঁতে চান। এ ছাড়াও শিক্ষা সংক্রান্ত কোন প্রকল্পে উপভোক্তার সংখ্যা কত, সেই পরিসংখ্যানও দিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন ৮৯ লক্ষ ছাত্রী। মমতা জানান, সবুজসাথী প্রকল্পে সাইকেল পেয়েছে এক কোটি ২৭ লক্ষ স্কুলপড়ুয়া। ঐক্যশ্রীর উপভোক্তার সংখ্যা ৪ কোটি ১৫ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। শিক্ষাশ্রীর সুবিধা পেয়েছে ১ কোটি ৩৯ লক্ষ ছাত্রছাত্রী। মেধাশ্রী প্রকল্পে সরকারি অনুদান প্রাপকের সংখ্যা ৬ লক্ষ ৬৮ হাজার। স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ পেয়েছে ৩২ লক্ষ ৬০ হাজার ছাত্রছাত্রী।
স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ডে উচ্চশিক্ষার জন্য ঋণ পেয়েছেন ৮১ হাজার পড়ুয়া। রাজ্যে নতুন করে ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয়, ১৪টি মেডিক্যাল কলেজ, ৫৩টি কলেজ ও ৭ হাজারের বেশি স্কুল তৈরি হয়েছে। শুধু শিক্ষা সংক্রান্ত প্রকল্পেই রাজ্যে সুবিধা পেয়েছে প্রায় সাত কোটি পড়ুয়া। এই পরিসংখ্যান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য বলে মনে করে রাজ্য সরকার। মমতার বক্তব্যে এদিন উঠে আসে ইউক্রেনের যুদ্ধের পরিস্থিতির কথা। ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সেখানে আটকে থাকা বাংলার পড়ুয়াদের রাজ্য সাহায্য করেছিল।
এরপর পাঁচের পৃষ্ঠায়