• বায়ুদূষণ প্রতিরোধে সাফল্য কলকাতার, কমলো পিএম ২.৫
    এই সময় | ০৯ জানুয়ারি ২০২৫
  • এই সময়: ধারাবাহিক উন্নতি গত পাঁচ বছর ধরে। কলকাতার প্রতি ঘনমিটার বাতাসে ভাসমান কণা পিএম ২.৫–এর পরিমাণ ২০২১ সালে ছিল ৫৭.৬ মাইক্রোগ্রাম। সেটাই প্রতি বছর নিয়মিত হারে কমতে কমতে ২০২৪–এ এসে পৌঁছেছে ৪৪.৮ মাইক্রোগ্রামে।

    ২০১৯ থেকে হিসেব কষতে বসলে দেখা যায় কলকাতার বাতাসে প্রতি ঘনমিটারে পিএম ২.৫–এর পরিমাণ কমেছে ২১.৫ শতাংশ। ন্যাশনাল ক্লিন এয়ার প্রজেক্টে দেশের বিভিন্ন শহরে বায়ুদূষণ কমাতে যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তাতে কলকাতার রিপোর্ট কার্ড এমনই।

    বাতাসে ভাসমান কণাকে তাদের মাপের ভিত্তিতে দু’ভাগে ভাগ করা হয়। পার্টিকুলেট ম্যাটার (পিএম) ১০ এবং ২.৫। এই দুই কণার মধ্যে পিএম ২.৫–কে স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর বলে মনে করেন চিকিৎসকরা। কয়েক বছর আগে থেকেই দেশের বিভিন্ন শহরে বায়ুদূষণ কমাতে নানা ধরনের উদ্যোগ নেওয়া শুরু হয়।

    শহরের ওই তালিকায় ছিল কলকাতা–সহ বাংলার বেশ কয়েকটি শহরের নাম। ২০২৪ শেষ হওয়ার পর গত পাঁচ বছরে এই প্রকল্প কোন জায়গায় রয়েছে, তারই রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করা হলো। সেখানেই দেখা গিয়েছে কলকাতার ধারাবাহিক উন্নতি। এই উন্নতিকে ‘প্রশাসনিক দক্ষতা’–র সুফল বলে উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে।

    এই প্রসঙ্গে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র বলেন, ‘পিএম২.৫ প্রতি ঘনমিটারে ৪৪.৮ মাইক্রোগ্রাম হয়েছে, এটা আমাদের জন্য খুবই ভালো খবর। তবে, এখনই আত্মতুষ্টির কোনও কোনও জায়গা নেই। আমাদের লক্ষ্য বাতাসে পিএম২.৫–এর পরিমাণ ঘনমিটারে ৪০–এর নীচে নিয়ে যাওয়া।’ বায়ুদূষণ প্রতিরোধে এই সাফল্যের জন্য তিনি কলকাতা পুরসভাকেও সমান কৃতিত্বের অধিকারী বলে উল্লেখ করেছেন। জানিয়েছেন, ক্রমাগত সচেতনতার প্রচার এবং নানা ধরনের বিকল্প যন্ত্রের ব্যবহারেই এমন সাফল্য এসেছে।

    তবে, কলকাতা বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সফল হলেও রাজ্যের অন্য দুই শহর আসানসোল এবং দুর্গাপুর এখনও সাফল্য থেকে অনেকটাই দূরে। এই দুই শহরে দূষণের পরিমাণ কমানোর জন্যও বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে।

  • Link to this news (এই সময়)