• আরজি কর অভিযুক্ত সঞ্জয়ের তরফে ‘আর্গুমেন্ট’ শেষ, আজ জাজমেন্টের দিন ঘোষণা?
    এই সময় | ০৯ জানুয়ারি ২০২৫
  • এই সময়: আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসক–ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের তরফে ‘ডিফেন্স আর্গুমেন্ট’ সম্পূর্ণ শেষ হল শিয়ালদহ আদালতে। আজ, বৃহস্পতিবার সঞ্জয়ের ‘আর্গুমেন্টের’ পাল্টা সিবিআইয়ের আইনজীবী সওয়াল করবেন। নির্যাতিতার আইনজীবীর তরফেও বৃহস্পতিবার সওয়াল করা হবে। সব তরফের সওয়াল–জবাব শেষ হলে এ দিনই সাজা ঘোষণার দিন ঘোষণা করা হতে পারে। বুধবার শিয়ালদহের ফার্স্ট অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট জজ (ফার্স্ট এডিজে) অনিবার্ণ দাসের এজলাসে ইন–ক্যামেরা রুদ্ধদ্বার শুনানি হয়েছে।

    মঙ্গল ও বুধবার দু’দিন ধরেই সঞ্জয়ের হয়ে সওয়াল করেছেন তার আইনজীবী সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়। আদালত সূত্রের খবর, তিনি সঞ্জয়কে নির্দোষ বলে দাবি করেন। যুক্তি হিসেবে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ ‘এভিডেন্স প্ল্যানটেড’ করেছে বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে যা কিছু মিলেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে, তা সঞ্জয়কে ফাঁসানোর জন্য তৈরি করা হয়েছে। ডিএনএ রির্পোটটিও ‘ফলস’ বলে দাবি সঞ্জয়ের আইনজীবীর।

    কারণ, সেই রিপোর্টটি ‘কন্টামিনেটেড’ বলেও সৌরভের দাবি। আদালত সূত্রের দাবি, রুদ্ধদ্বার শুনানিতে সৌরভ প্রশ্ন তুলেছেন, নির্যাতিতার দেহ দ্রুত সৎকার করা হয় কেন? তাঁর দাবি, আসলে সঞ্জয়কে ফাঁসানোর জন্যই এমনটা করা হয়েছে। এমনকী, ঘটনার সময়ে প্রতিরোধের চিহ্ন হিসেবে সঞ্জয়ের গায়ে যে দাগের কথা সিবিআই তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করেছে, তাকে এ দিন ‘বক্সিং খেলতে গিয়ে পড়ে যাওয়ার দাগ’ বলে নাকি দাবি করেছেন সৌরভ। আবার সঞ্জয় জেরার মুখে সিবিআইকে জানিয়েছিল, ওই ‘দাগ’ নাকি ঘটনার দু’দিন আগে রক–ক্লাইম্বিং করতে গিয়ে পড়ে যাওয়ার চিহ্ন।

    আদালত সূত্রের খবর, এ দিন এই দু’টি কারণের কথা শুনে বিচারক নাকি প্রশ্ন করেন, কোনটা সত্য? অভিযুক্তকে নির্দোষ হিসেবে যে যুক্তি দেওয়া হচ্ছে, তার প্রমাণ কোথায়? আজ, বৃহস্পতিবার সিবিআইয়ের সওয়ালে সেই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করছেন আইনজীবীরা। নির্যাতিতার আইনজীবী হিসেবে এ দিন ছিলেন অমর্ত্য দে, সিবিআইয়ের আইনজীবী ছিলেন পার্থসারথি মুখোপাধ্যায়। এ দিন সঞ্জয়কে আদালতে নিয়ে আসা হয়। নির্যাতিতার মা–বাবা উপস্থিত ছিলেন এজলাসে। তাঁদের আইনজীবী তরফে অমর্ত্য জানান, মা–বাবা চান প্রকৃত দোষীরা যেন শাস্তি পায়। যদিও এজলাসে তাঁরা কিছু বলেন নি।

    গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে চিকিৎসক–ছাত্রীর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সেই ঘটনায় কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয় সঞ্জয়। হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্তভার হাতে নেয়। গত অক্টোবরে চার্জশিট দেয় সিবিআই। এরপর চার্জ গঠন হয়। শুরু হয় ট্রায়াল। খুব দ্রুত এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা হবে বলে মনে করছেন আইনজীবীরা।

  • Link to this news (এই সময়)