• ‘বাংলা শস্য বিমা’র টাকা দেওয়া শুরু ৯ লক্ষ কৃষককে
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ০৯ জানুয়ারি ২০২৫
  • বাংলা শস্য বিমা প্রকল্পের আওতায় ৯ লক্ষ কৃষককে আর্থিক সহয়তা প্রদানের কাজ শুরু করল নবান্ন। এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে নিজেই এ বিষয়ে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আগেই ঘোষণা করেছিলেন যে বাংলার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের আর্থিক সহয়তা প্রদান করা হবে। সেই মতোই শুরু হল কাজ। ৯ লক্ষ কৃষককে মোট ৩৫০ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদানের কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

    বাংলা শস্য বিমা প্রকল্পের টাকা সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পাবেন কৃষকরা। মমতা এদিন জানান, চলতি খরিফ মরসুমে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে যে সকল কৃষকদের চাষের ক্ষতি হয়েছিল মূলত তাঁদেরই এই সহায়তা করা হচ্ছে। এছাড়াও ফসলের বিমার জন্য কৃষকদের কাছ থেকে কোনও টাকা নেওয়া হচ্ছে না। কারণ, আলু, আখ সহ সব ফসলের প্রিমিয়ামের পুরো টাকাই রাজ্য সরকার দেয়।

    কৃষকদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের কাজ শুরু করতে পেরে মমতা অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছেন। এক্স হ্যান্ডলে নিজেই একথা জানিয়েছেন তিনি। এদিন তিনি আরও লেখেন, ‘এটা আমাদের গর্ব যে, ২০১৯ সালে চালু হবার পর থেকে কেবলমাত্র ‘বাংলা শস্য বিমা’ প্রকল্পেই আমাদের সরকার ১ কোটি ১২ লক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে মোট ৩ হাজার ৫৬২ কোটি টাকা সহায়তা প্রদান করেছে। আমরা বরাবর বাংলার কৃষকদের পাশে ছিলাম, পাশে আছি, পাশে থাকবো। জয় বাংলা!’

    গত বছর প্রতিকূল আবহাওয়ার জন্য কৃষকরা প্রচুর ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিলেন। দক্ষিণবঙ্গের হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুরের বিস্তৃর্ণ এলাকা বন্যার জলে প্লাবিত হয়েছিল। সেই সময় বিঘার পর বিঘা জমির ফসল চলে গিয়েছিল জলের তলায়। মাঠেই নষ্ট হয়ে গিয়েছিল ধান সহ অন্যান্য ফসল। এই কারণে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির কৃষকরাও। প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর মমতা নিজেই কৃষকদের আর্থিক সাহায্য প্রদানের কথা ঘোষণা করেছিলেন। সেই কথাই রাখলেন তিনি।

    উল্লেখ্য, বাংলার শস্য বিমায় নাম নথিভুক্ত করতে হলে কৃষকদের জমির দলিল সহ কিছু নথির প্রয়োজন হয়। তবেই নাম নথিভুক্ত করা যায়। প্রতিবছরই বিভিন্ন প্রাকৃতির দুর্যোগের সময় বাংলার বহু কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হন। এই বিমা থাকলে সহজেই তাঁরা আর্থিক ক্ষতিপূরণ পেয়ে যান।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)