মালদার তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলার দুলাল সরকার খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছেন তৃণমূলেরই শহর সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি। দুলাল খুনে ‘রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র’ রয়েছে বলে আগেই দাবি করেছিলেন দুলালের স্ত্রী চৈতালি সরকার। নরেন্দ্রনাথ গ্রেপ্তারির পরেও তিনি পুরোপুরি ‘সন্তুষ্ট’ নয় বলে জানালেন চৈতালি। স্বামীর মৃত্যুর বিচারের আশায় তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও দেখা করবেন বলে জানালেন তিনি।
বুধবারই রাজ্য পুলিশ সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছে, দুলাল খুনে মূল চক্রী নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি ও স্বপন শর্মা। তাঁরাই ৫০ লক্ষ টাকা সুপারি দিয়ে দুলালকে হত্যার ছক করেছিল বলে দাবি পুলিশের। তিন দিনের পুলিশি হেফাজত হয়েছে দু’জনেরই। তবে এ দিন চৈতালি বলেন, ‘আমি সন্তুষ্ট নই। এর শেষ দেখতে চাই। কারণ, এটা খালি এখন যাঁরা সামনে এসেছে, তাঁরাই শুধু জড়িত আছে এমন নয়। এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ কেউ যুক্ত আছেন।’ চৈতালির দাবি, ঘটনার নৃশংসতা দেখেই বোঝা যাচ্ছে এই ঘটনার সঙ্গে একাধিক মাথা জড়িয়ে আছে। তবে দল ও প্রশাসনের উপর ‘অটুট’ ভরসা রয়েছে বলেও দাবি করেন চৈতালি।
আগামী ১২ জানুয়ারি তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে দুলাল সরকারের মৃত্যুতে স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে। ইংরেজবাজারে স্মরণসভায় উপস্থিত থাকবেন জেলা নেতৃত্ব। কলকাতা থেকে সেই স্মরণসভায় অংশগ্রহণ করবেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। দুলাল সরকারের বাড়ি গিয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও দেখা করবেন রাজ্য সভাপতি।
এর পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করবেন চৈতালি। চৈতালি বলেন, ‘স্মরণসভার দিন আমার বাড়িতে রাজ্য সভাপতি আসবেন। সব মিটলে আমি তার পর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করব। আমার যা অভিযোগ আছে, সেটা পুলিশ জানতে চাইলে তাদের আমি জানাব। আর সমস্ত অভিযোগ আমি আমার নেত্রীকে জানাব।’
উল্লেখ্য, গত ২ জানুয়ারি সকালে প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করা হয় তৃণমূল কাউন্সিলারকে। তদন্তে নেমে পুলিশ পরপর পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর বুধবার ঘটনার অন্যতম চক্রী নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি ও তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ স্বপন শর্মাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার মালদা জেলা তৃণমূল সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারিকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের কথা জানান।