মেট্রোয় সুইসাইড বাড়ায় দুশ্চিন্তা, কীভাবে রোখা যায়? উঠে-পড়ে লাগল রেল
আজ তক | ০৯ জানুয়ারি ২০২৫
কলকাতা মেট্রোর উত্তর-দক্ষিণ করিডোরে একের পর এক আত্মহত্যার ঘটনা মেট্রো কর্তৃপক্ষের কাছে বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সমস্যার সমাধানে কালীঘাট স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে গার্ডরেল বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই ডাউন লাইনে কয়েকটি গার্ডরেল বসানো হয়েছে। তবে, এই উদ্যোগ আত্মহত্যার ঘটনা কতটা আটকাতে পারবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
চাঁদনি চক স্টেশনের ঘটনার পরই সক্রিয় উদ্যোগ
৬ জানুয়ারি চাঁদনি চক স্টেশনে এক ব্যক্তির আত্মহত্যার চেষ্টার কারণে দুই ঘণ্টারও বেশি সময় মেট্রো পরিষেবা ব্যাহত হয়। এই ঘটনায় হাজার হাজার যাত্রী সমস্যায় পড়েন। এর পরেই মেট্রো কর্তৃপক্ষ আত্মহত্যা রোধে পদক্ষেপ নেওয়ার উদ্যোগ শুরু করে।
পোস্টার ও সচেতনতা প্রচার
মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের প্রান্তে পোস্টার এবং ব্যানার লাগিয়েছে, যাতে লেখা আছে, “Think Twice Before You End All” এবং “আপনার পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে অপেক্ষা করছেন, তাদের কথা ভাবুন।” এই বার্তাগুলি যাত্রীদের শেষ মুহূর্তে সচেতন করতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি, প্ল্যাটফর্মে পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমের মাধ্যমে নিয়মিত ঘোষণা করা হচ্ছে, যাতে যাত্রীরা হলুদ লাইন অতিক্রম না করেন এবং সতর্ক থাকেন।
সিসিটিভি নজরদারি ও নিরাপত্তা কর্মীদের সক্রিয়তা
স্টেশনের প্রতিটি অংশে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। কোনও যাত্রীর আচরণ সন্দেহজনক মনে হলে, নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে সঙ্গে সতর্ক বার্তা পাঠানো হচ্ছে। প্ল্যাটফর্মে যে কোনও ধরনের অস্বাভাবিক আচরণ নজরে আনতে নিরাপত্তা কর্মীদের কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্ল্যাটফর্মে কাচের বাধা স্থাপনের সীমাবদ্ধতা
পুরনো মেট্রো করিডোরগুলিতে, যেমন ব্লু লাইন করিডোরে, প্ল্যাটফর্মে কাচের বাধা বসানো সম্ভব নয়। রেক এবং প্ল্যাটফর্মের প্রযুক্তিগত গঠনের সঙ্গে তা সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তবে নতুন মেট্রো লাইনগুলিতে (কমলা, সবুজ, বেগুনি লাইন) প্ল্যাটফর্মে কাচের দরজা বসানো হয়েছে, যা নিরাপত্তা আরও বাড়িয়েছে।
মানসিক চাপ মোকাবিলায় কাউন্সেলিং
মেট্রো স্টেশনগুলিতে প্রশিক্ষিত কর্মীদের রাখা হয়েছে, যারা যাত্রীদের মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করছেন। কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে তারা যাত্রীদের শান্ত ও স্থির থাকতে সাহায্য করছেন।
যাত্রীদের প্রতি বার্তা
মেট্রো কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের কাছে আবেদন করেছে, “জীবন অমূল্য, কোনও চরম পদক্ষেপ নেওয়ার আগে দু’বার ভাবুন। পরিবারের কথা মনে করুন।”