কলকাতা জাদুঘরের অন্যতম আকর্ষণ হল মমি। সে কবেকার কথা। সেই মমি আজও রয়েছে কলকাতা জাদুঘরে। কিন্তু এবার ঠিকানা বদল হল সেই মমির। কয়েক হাজার বছরের প্রাচীন এই মমি। বর্তমানে তার ঠিকানা কলকাতা জাদুঘরে। তবে যে ঘরে এই মমিটি রয়েছে সেখানে বর্তমানে সংস্কার কাজ করা হবে। সেকারণেই এবার অন্য় ঘরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
এদিকে অতীতে মমিটি একতলার একটি ঘরে থাকত। ১৯৮৯ সালে মমিটিকে একতলার ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে পুরনো ঘর সংস্কার হওয়ার পরে ফের সেই আগের ঘরে নিয়ে আসা হবে মমিটিকে।
১৮৩৪ সালে মিশরের শহর থেকে লেফটেনান্ট ইসি আর্চবোল্ড এই মমিটিকে খুঁজে পেয়েছিলেন। এরপর সেই মমিটি প্রথমে আনা হয়েছিল এশিয়াটিক সোসাইটি মিউজিয়ামে। পরবর্তীতে সেই মমিটিকে নিয়ে আসা হয় কলকাতা জাদুঘরে।
তবে মমিটি পুরুষ নাকি নারীর সেটা ঠিক জানা যায় না। সেটা নিয়ে কিছুটা ভিন্ন মত রয়েছে। অত্যন্ত যত্নে রাখা রয়েছে এই মমিটি। নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে রাখা হয় এই মমিটিকে।
সূত্রের খবর মমিকে ২৪-২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে এই মমিটিকে রাখতে হয়। ৬০ শতাংশের কম আর্দ্রতার মধ্যে রাখতে হয় এই মমিকে। কাচের বাক্সে যে সিলিকা জেল থাকে সেটা নিয়মিত পালটাতে হয়। বর্তমানে যে ঘরে এই মমিকে রাখা হয়েছে সেখানেও একই ধরনের পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। মূলত প্রাচীন এই মমির যাতে কোনও ক্ষতি না হয় সেটা দেখা হয় সবসময়।