• ‘‌কংগ্রেসের সমর্থনে উনি রাজ্যসভায়, পদত্যাগ করা উচিত’‌, বিকাশ–শুভঙ্কর তরজা
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৯ জানুয়ারি ২০২৫
  • বাম–কংগ্রেস জোটে কি এবার ফাটল ধরতে চলেছে? রাজ্য–রাজনীতিতে এই প্রশ্নই এখন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। কারণ কংগ্রেসকে সরাসরি আক্রমণ করে বসেছেন সিপিএমের রাজ্যসভার সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। আর কড়া জবাব দিয়ে রাজনীতির ময়দান সরগরম করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার। আর তাই ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে যদি কংগ্রেস–সিপিএম সখ্যতা বা জোট ভেঙে যায় তাহলে আশ্চর্যের কিছু নেই। এখনও পর্যন্ত‌ খাতায়–কলমে জোট শরিক। কিন্তু বাস্তবে কি দূরত্ব বাড়ছে? এই প্রশ্নও উঠছে।

    সম্প্রতি কংগ্রেসের অন্দরে কিছু সদস্য আছেন যাঁরা আরএসএসের দিকে ঝুঁকে রয়েছে বলে মন্তব্য করেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। রাজনৈতিক সমীকরণ পাল্টাতে পারে সেটাও উল্লেখ করেছেন। এমনকী ইন্দিরা গান্ধী জমানার ইমারজেন্সি নিয়েও সমালোচনা করেছেন বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশরঞ্জন। আর তারই জবাব দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। এই বিষয়ে কড়া জবাব দিয়ে শুভঙ্কর সরকার বলেন, ‘‌রাজ্য়সভা থেকে পদত্যাগ করে দেওয়া উচিত। কংগ্রেস বিধায়কদের সমর্থন নিয়ে তিনি রাজ্যসভায়। আমাদের প্রত্যেকের কিছু রাজনৈতিক ব্যাকরণ মানা প্রয়োজন।’‌


    ঠিক কী বলেছেন বিকাশরঞ্জন? বিজেপির বিরুদ্ধে এখন জোট গড়েছে কংগ্রেস এবং সিপিএম। সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমে কলকাতার প্রাক্তন মেয়র বলেছেন, ‘‌রাজনৈতিক সমীকরণ পরিবর্তন হয়। সামাজিক পরিস্থিতি পরিবর্তন হয়। সেই পরিবর্তিত পরিস্থিতির উপর দাঁড়িয়ে রাজনৈতিক সমীকরণও বদলায়। রাজনৈতিক সমীকরণ বদলেছে মানেই যে অতীতের ঘটনা সব ইতিহাস থেকে মুছে গিয়েছে তা নয়। উপেক্ষা করতে পারব, ইন্দিরা গান্ধীর আমলে যে ইমার্জেন্সি হয়েছিল, ইর্মাজেন্সি তো কালো অধ্যায়। আমি তো সংসদে ৩ মিনিটের সময়ে সে কথা বলেছি। ইন্দিরা গান্ধী ক্ষমা চেয়েছেন, সেটাও বলেছি। এটা ঐতিহাসিক ঘটনা।’‌

    এখানেই শেষ নয়, বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য আরও সমালোচনা করেছেন কংগ্রেসের। তাঁর বক্তব্য, ‘‌কংগ্রেসের মধ্যে একদল মানুষ আছেন, যাঁরা আরএসএসের দিকেই মতামত প্রকাশ করছেন। যাঁর বিরুদ্ধে রাহুল লড়াই করছেন। সাঁইবাড়ির ঘটনা নিয়ে দক্ষিণপন্থার পক্ষ থেকে বামপন্থীদের বিরুদ্ধে অনেক কুত্‍সা অপপ্রচার করা হয়েছে। কিন্তু আজকে লড়াইয়ের প্রেক্ষিতটা পালটে গিয়েছে।’‌ পাল্টা কড়া জবাব দিয়ে শুভঙ্কর সরকারের কথায়, ‘‌বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য শ্রদ্ধেয় মানুষ, বিশিষ্ট আইনজীবী। আমি শ্রদ্ধা করি। তিনি অহেতুক এখন এইসব প্রশ্ন তুলেছেন। আমার মনে হয়, এই সব প্রশ্ন তোলার আগে রাজ্য়সভা থেকে পদত্যাগ করে দেওয়া উচিত। কংগ্রেস বিধায়কদের সমর্থন নিয়ে উনি রাজ্যসভায়। আমাদের প্রত্যেকের কিছু রাজনৈতিক ব্যাকরণ মানা প্রয়োজন। কংগ্রেসের আরএসএস লোক আছে বলছেন, তিনি আরএসএসের হয়ে কাজ করছেন না, এটা যদি কংগ্রেসের থেকে বলে কোনও অন্যায় হবে কি?’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)