সাংসদের ফোন জেলাশাসককে, তিনি জানালেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে, অবশেষে ২০ কেজির যন্ত্রণার অবসান...
আজকাল | ১০ জানুয়ারি ২০২৫
মনিরুল হক: ডানদিকের গাল থেকে বুক পর্যন্ত নেমে এসেছিল টিউমার। ওজনে যা ২০ কেজির কাছাকাছি। এক ইউটিউবারের দৌলতে যা ভাইরাল হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সামিউল ইসলাম ফোন করেন কোচবিহারের জেলাশাসক অরবিন্দকুমার মীনাকে। দ্রুত ব্যবস্থা নিতে জেলাশাসক ফোন করে জানান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সুকান্ত বিশ্বাসকে। এরপরেই কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ নির্মলকুমার মণ্ডল এবং এমএসভিপি সৌরদীপ রায়ের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। শেষপর্যন্ত ৩০ ডিসেম্বর সফল অস্ত্রোপচার এবং অস্ত্রোপচারের পর টিউমারমুক্ত হলেন সুমতি দাস। গত ২০ বছর ধরে এই টিউমার বয়ে বেড়াচ্ছিলেন তিনি।
অস্ত্রোপচারের পর কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এমএসভিপি ডাঃ সৌরদীপ রায় বলেন, 'এই ধরনের জটিল অস্ত্রোপচার সাধারণত কলকাতার হাসপাতালগুলিতে করা হয়। সম্ভবত উত্তরবঙ্গে প্রথম এই ধরনের কোনও 'বড়' অস্ত্রোপচার হল। জেলা প্রশাসন এবং আমার সমস্ত সহকর্মীকে এই সাফল্যের জন্য ধন্যবাদ। রোগী মাথাভাঙ্গা ২ নম্বর ব্লকের নিশিগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার তাঁকে ছুটি দেওয়া হয়েছে।' জানা গিয়েছে সার্জেন ডাঃ অসিত চক্রবর্তী-সহ চার সদস্যের একটি চিকিৎসক ও নার্সের দল তিনঘন্টা ধরে এই অস্ত্রোপচার করেন।
এবিষয়ে রোগী সুমতি দাস জানান, 'গত ২০ বছর ধরে এই টিউমারের সমস্যায় ভুগছিলাম। কাজ করতে পারছিলাম না। একজন ইউটিউবার আমার ছবি তুলে নিয়ে যান। এরপর আমার চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেন জেলাশাসক ও জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক-সহ অন্যরা। আমি এখন ভালো আছি। এই উদ্যোগ নেওয়ার জন্য আমি সকলের কাছে কৃতজ্ঞ।' জানা গিয়েছে গত ২৮ ডিসেম্বর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং ৩০ ডিসেম্বর অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়।