• অভাব অভিযোগ শুনতে প্রত্যন্ত গ্রামে মানুষের দুয়ারে পৌঁছলেন হুগলির জেলাশাসক...
    আজকাল | ১০ জানুয়ারি ২০২৫
  • মিল্টন সেন,হুগলি: এবার মানুষের অভাব অভিযোগ শুনতে প্রত্যন্ত গ্রামে পৌঁছে, মানুষের বাড়ি বাড়ি ঘুরে গ্রামবাসীরা কেমন আছেন, জানলেন হুগলির জেলাশাসক। মাটির দাওয়ায় বসে দীর্ঘ সময় কথা বললেন গ্রামের মানুষের সঙ্গে। গুরুত্ব দিয়ে শুনলেন সকলের অভাব অভিযোগের কথা। জানার চেষ্টা করলেন, সেখানে সরকারি সমস্ত প্রকল্প পৌঁছয় কিনা। এখনও প্রকল্পের সুবিধা থেকে কেউ বঞ্চিত কিনা।

    খোদ জেলাশাসক নিজেই গ্রামবাসীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নিলেন সবাই দুয়ারে রেশন পাচ্ছেন কিনা। রেশনে দেওয়া খাদ্য সামগ্রীর মান কেমন, তা যাচাই করে দেখলেন জেলাশাসক নিজেই। পাশাপাশি স্কুলে পৌঁছে খতিয়ে দেখলেন পড়ুয়াদের মিড-ডে মিলের মান কেমন? সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেছিলেন, প্রশাসনের আধিকারিক ও জন প্রতিনিধিদের মানুষের দুয়ারে পৌঁছাতে হবে। মানুষের অভাব অভিযোগের সমাধান করতে হবে। খোঁজ নিতে হবে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষ ঠিকমত পাচ্ছেন কিনা।

     বৃহস্পতিবার সকালে সেই খোঁজ নিতে পোলবা থানার অন্তর্গত একাধিক গ্রামে ঘোরেন হুগলির জেলাশাসক মুক্তা আর্য। তার সঙ্গে ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি রঞ্জন ধারা, অতিরিক্ত জেলাশাসক, মহকুমা শাসক, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ, পঞ্চায়েত সমিতি এবং পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিরা। এদিন জেলাশাসক ঘুরে দেখেন পোলবার মহানাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রাম। কথা বলেন গ্রামবাসীদের সঙ্গে। গ্রামের মানুষের সঙ্গে মাটিতে বসে জন শুনানিতে অংশ নেন জেলাশাসক।

    মহানাদের কাঠালিয়া সুদর্শন ঘুরে জেলাশাসক এবং জেলা প্রশাসনের কর্তারা পৌঁছন উত্তর দাদপুর গ্রামে। সেখানে মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানার চেষ্টা করেন তাদের সরকারি প্রকল্পের সুবিধে পাওয়া, না পাওয়ার বিষয়ে। এদিন জেলাশাসকের কাছে পানীয় জল, রাস্তা, আবাসের ঘর সহ নানা বিষয় নিয়ে তাদের সমস্যার কথা বলেন গ্রামবাসীরা।

    ইতিমধ্যেই বাংলার বাড়ি প্রকল্পের প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়া হয়েছে উপভোক্তাদের। সেই কাজ কেমন চলছে তাও ঘুরে দেখেন জেলাশাসক। স্কুলে গিয়ে খোঁজ নেন বাচ্চারা স্কুলে আসছে কিনা। খতিয়ে দেখেন পড়ুয়াদের মিড-ডে মিল কেমন চলছে। মিড-ডে মিলের মান কেমন ইত্যাদি। এদিন দুয়ারে জেলাশাসক প্রসঙ্গে হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি রঞ্জন ধারা জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তাঁরা গ্রামে গ্রামে যাচ্ছেন। সেখানে মানুষের অভাব অভিযোগ শুনছেন। অনেক উন্নয়নের কাজ হয়েছে। তবে আরও কিছু বাকি আছে। কি কি কাজ এখনও করতে হবে, তার খতিয়ান তৈরি করা হচ্ছে। সেগুলি করার দিকে জোর দেওয়া হচ্ছে। পোলবা দাদপুর ব্লকের ১২ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের রিভিউ মিটিং হবে।  সেগুলি  নিয়ে আলোচনা হবে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে।
  • Link to this news (আজকাল)