দূরের নয়, কাছের দমকলই ছুটে যাবে আগুন নেভাতে, নতুন বছরে মুখ্যমন্ত্রীর উপহার ...
আজকাল | ১০ জানুয়ারি ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: এলাকায় ছিল না ফায়ার স্টেশন। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে আগুন নেভাতেই লেগে যেত বহু সময়। ধূলিয়ান বা বহরমপুর থেকে দমকলের ইঞ্জিন আসতে আসতেই ঘটে যেত বড়সড় বিপর্যয়। এলাকাবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল জঙ্গিপুরেও হোক একটি ফায়ার স্টেশন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির উদ্যোগে অবশেষে সেই দাবি পূরণ হল। বৃহস্পতিবার পথ চলা শুরু হল জঙ্গিপুর ফায়ার স্টেশনের । বৃহস্পতিবার বিকেলে কলকাতা থেকে ভার্চুয়ালি জঙ্গিপুর অগ্নি নির্বাপণ ও জরুরি পরিষেবা কেন্দ্রের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
রঘুনাথগঞ্জে ফায়ার স্টেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুর্শিদাবাদ ও জঙ্গিপুরের দুই সাংসদ আবু তাহের খান ও খলিলুর রহমান, মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি রুবিয়া সুলতানা, জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার আনন্দ রায় সহ বিশিষ্টজনেরা। সবুজ পতাকা নেড়ে দমকলের ইঞ্জিনের যাত্রা শুরু হয়। জঙ্গীপুরের সাংসদ খলিলুর রহমান বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে ধন্যবাদ জানাই। জঙ্গিপুর মহকুমায় শুধুমাত্র সামসেরগঞ্জে ফায়ার স্টেশন ছিল। ওই কেন্দ্রের উপরে নির্ভরশীল ছিল ফরাক্কা থেকে সুদূর লালগোলা। অন্যদিকে নবগ্রাম থেকে খড়গ্রাম। আজকে তার অবসান হল। জঙ্গিপুরবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এই ফায়ার স্টেশন।
২০১৯ সালের নির্বাচনেও সেই দাবি রেখেছিলেন এখানকার মানুষ। জঙ্গিপুরের বিধায়ক-সহ সকলের প্রয়াসে রাজ্য সরকার এই কাজটা করে দিয়েছে।' প্রসঙ্গত, ওমরপুর সংলগ্ন জাতীয় সড়কের পাশে পূর্ত দপ্তরের জায়গায় তৈরি হয়েছে জঙ্গিপুর ফায়ার স্টেশন। উদ্বোধনের সপ্তাহ দুয়েক আগেই ২০২৪ এর ২৪ শে ডিসেম্বর পূর্ত দপ্তরের পক্ষ থেকে ফায়ার স্টেশন কর্তৃপক্ষের হাতে ভবনের চাবি হস্তান্তর করা হয়। ৪ কোটি ৫৬ লক্ষ্য টাকা ব্যায়ে তৈরি হয়েছে এই স্টেশন। আপাতত দুটি ইঞ্জিন রয়েছে। প্রয়োজন পড়লে আরও গাড়ি বাড়ানো হবে বলেই দমকল কেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে।