• '২০১১ সালের আগে গঙ্গাসাগরে কিছুই ছিল না'!
    ২৪ ঘন্টা | ১০ জানুয়ারি ২০২৫
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'যা খরচ হয়, সব রাজ্য সরকারের থেকেই হয়'। বাবুঘাটে গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখলেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, '২০১১ সালে গঙ্গাসাগরের কিছুই ছিল না। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ছাড়ুন, তখন তো খুব অল্প সংখ্যক মানুষ আসত। খুব কষ্ট  নিজেকেই সব করতে হয়। তীর্থকরও দিতে হত'।

    শুরু হয়ে দিয়েছে গঙ্গাসাগর। কবে? ৮ জানুয়ারি। কলকাতার মিলেনিয়াম পার্কের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য আনুষ্ঠানিকভাবে মেলার সূচনা করেছেন পরের দিন অর্থাত্‍ ৯ জানুয়ারি। বাবুঘাটে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'গঙ্গাসাগর মেলায় আমাদের মন্ত্রীরা অনেকেই থাকবে।  গত বছর প্রায় ১ কোটির উপরের মানুষ এসেছিলেন গঙ্গাসাগরে। এবার কুম্ভমেলাও আছে। সেখানকার  সুবিধা হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা দেন। সেখানে রেল, প্লেন, রাস্তার সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু আমাদের গঙ্গাসাগরের মেলাটা হচ্ছে জলের সঙ্গে যুক্ত।  মানুষকে জল পেরিয়ে, কেউ নৌকায়, কেউ ভেসেলে, কেউ লঞ্চে। নানারকমভাবে তাঁদের পারাপার করতে হয়। খুবই কঠিন'।

    মুখ্যমন্ত্রীর আরও বক্তব্য়, 'কিছুই ছিল না যখন আমরা আসি ২০১১ সালে। একটা থাকার জায়গায় ছিল না। লোকের কাছে তীর্থকর নেওয়া হত। মানুষের দায়িত্ব নেওয়া হত না। ২০১১ সালে আমি দেখলাম, কিছুই নেই। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ছাড়ুন, তখন তো খুব অল্প সংখ্যক মানুষ আসত। খুব কষ্ট  নিজেকেই সব করতে হয়। তীর্থকরও দিতে হত। আমাদের সরকার আসার পর গঙ্গাসাগর মেলায় যা খরচ হয়, সব রাজ্য সরকারের থেকেই হয়। তিনটে হেলিপ্যাড স্টেশনও হয়ে গিয়েছে। থাকার অনেক জায়গা হয়ে গিয়েছে। তীর্থযাত্রীদের থাকার ব্যবস্থা করেছি। কত বায়ো টয়লেট করেছি'।

    মুখ্যমন্ত্রী জানান, 'আমাদের ১২ জন মন্ত্রী থাকবে। কেউ থাকবে মেলার প্রাঙ্গণে, কেউ থাকবে ৮ নম্বর লটে, কেউ থাকবে কচুবেড়িয়ায়। রাজ্য পুলিস ও কলকাতা পুলিসের অফিসাররাও থাকবে। এসপি, ডিএম তো থাকবেই'। সঙ্গে তীর্থযাত্রীদের উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, জলপথে তাড়াহুড়ো করবেন না। জলে জল কতগুলি ভেসেল রয়েছে, কত লঞ্চ আছে। একবারে কতজনকে নিয়ে যেতে পারবে। সেটা দেখে পুলিস ছাড়ে। একদল চলে গেলে, আবার একদল যায়। এভাবে কাকদ্বীপ পর্যন্ত নিয়ে আসে। তারপর বাস থাকে। ট্রেন থাকে। তাতে চলে যায়'।

    মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, 'আমি ১০ সাল থেকে চেষ্টা করছি,যাতে এই মেলাকে জাতীয় মেলা ঘোষণা করা হয়। দুর্গমতার দিকে কুম্ভমেলার থেকে গঙ্গাসাগর মেলা অনেক কঠিন। কুম্ভমেলা আপনি ট্রেনে যেতে পারেন, গাড়িতে যেতে পারেন, বাসে যেতে পারেন। কিন্তু গঙ্গাসাগরে প্রথমে তো কাকদ্বীপ পর্যন্ত যেতে হবে। তারপর হয় লঞ্জ, না হয় ভেসেল বা বার্জে যেতে হবে গঙ্গাসাগরের কচুবেড়িয়া। ওপার থেকে আরও ৪৫ মিনিটে যেতে হবে। তারপর কপিলমুনির আশ্রম দেখতে পাবেন'।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)