আগামী ১৮ জানুয়ারি দুপুরে আরজি কর কাণ্ডে রায় ঘোষণা করবে শিয়ালদা আদালত। এসবের মধ্য়ে ফের শহরে মিছিল বের করলেন চিকিৎসকরা। আরজি কর আন্দোলনের একাধিক পরিচিত মুখ জুনিয়র ডাক্তারদের বৃহস্পতিবারের মিছিলে দেখা যায়। কলেজ স্ট্রিট থেকে শ্য়ামবাজার পর্যন্ত এই মিছিল হয়।
বলির পাঁঠা সঞ্জয়? প্রশ্ন আন্দোলনকারীদের।
জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশের দাবি, ঘটনা কীভাবে ঘটালো, কেন ঘটালো সেটা এখনও পরিষ্কার নয়। অপর জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতো সংবাদ মাধ্যমে বলেন, এই যে অপরাধ তার মোটিভ কী ছিল? কাকে বাঁচানোর উদ্দেশ্য ছিল, কেন তদন্তকে অন্যদিকে ঘোরানোর চেষ্টা হচ্ছিল? সেই সব প্রশ্নের উত্তর পেলে আমরা বুঝব ন্যায় বিচারের দিকে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, এক না একাধিক জড়িত, এই প্রশ্নের একটা নির্দিষ্ট উত্তর চাই। যদি সঞ্জয় রায় একলা হয় তবে সঞ্জয় রায়ের মোটিভ কী ছিল? প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণ লোপাটের যে চেষ্টার কথা সিবিআই বলেছে, তদন্তে অন্যদিকে চালিত করার যে অভিযোগের কথা বলা হচ্ছে, আমরাও বলছি, সেটা কি তাহলে সঞ্জয় রায়কে আড়াল করার জন্য় এগুলো করা হচ্ছিল? প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হচ্ছিল? একাধিক ডিএনএর প্রশ্ন এসেছে। সেটা কীভাবে হল? এক না একাধিক সেটা পরিষ্কার হল না। এক না একাধিক, মোটিভ কী ছিল আর প্রমাণ লোপাটের চেষ্টার কারণটা কী ছিল। এই প্রশ্নের উত্তর আমরা চাই। কাকে বাঁচানোর চেষ্টা হচ্ছিল। এই প্রশ্নের উত্তর যদি আমরা পাই তাহলে বুঝতে পারব যে ন্যায় বিচারের দিকে যাচ্ছে।
অপর আন্দোলনকারী কিঞ্জল নন্দ জানিয়েছেন, আমরা আন্দোলনের শুরু থেকেই বলছি যে বা যারা ঘটিয়েছে তার চরমতম শাস্তি চাই। সঞ্জয় রায়কে চরম শাস্তি দিক সেটা নিয়ে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু সিএফএসেলের যে তথ্য এসেছে যে অসংগতি সেই শূন্যস্থান পূরণের চেষ্টা কেন সিবিআইয়ের তরফে হচ্ছে না?
গত বৃহস্পতিবার শিয়ালদা আদালতে সিবিআইয়ের তরফে চূড়ান্ত সওয়ালে বলা হয়েছিল, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা বিরলের মধ্যে বিরলতম। সেদিনই সঞ্জয়ের সর্বোচ্চ শাস্তির আবেদন জানিয়েছিল সিবিআই।
প্রসঙ্গত আগামী ১৮ জানুয়ারি আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ধর্ষণ ও খুনের মামলার রায়দান হবে। সেদিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ রায়দান করবেন শিয়ালদা আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস। অর্থাৎ বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর ৬৯ দিনের মাথায় রায়দান করা হবে। গত ১১ নভেম্বর থেকে শিয়ালদা আদালতে আরজি কর মামলার বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। আজ সেই বিচারপ্রক্রিয়া শেষ হল। ন'দিন পরে রায়দান করা হবে। ইতিমধ্যে মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের ফাঁসি চেয়েছে সিবিআই।