• ‘আলাদা দল গড়ে সাফল্যে নেতাজির থেকে এগিয়ে মমতা,’ অনড় কুণাল,পালটা জবাব নেটপাড়ার
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১০ জানুয়ারি ২০২৫
  • আলাদা দল গড়ে সাফল্যের মাপকাঠিতে নেতাজি ও মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে ফের তুলনা করে মমতাকে এগিয়ে রাখলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। আসলে কুণাল ঘোষ আগেই একথা বলেছিলেন। তারপর কুণালের এই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে চিঠি দিয়েছিল সারাভারত ফরওয়ার্ড ব্লক। ফবর সাধারণ সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্য়ায় এই চিঠি দিয়েছিলেন। মমতা যাতে কুণালকে প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনার নির্দেশ দেন সেই অনুরোধও করেছিলেন নরেন চট্টোপাধ্য়ায়। এবার সেই চিঠি নিয়ে কার্যত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে জবাব দিলেন কুণাল। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি ফের সেই একই তুলনা টেনেছেন।

    'শ্রী নরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

    ফরওয়ার্ড ব্লক,

    আপনার মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে আমি আবার বলছি:

    নেতাজি দেশনায়ক। আমাদের গর্ব। আমার মতে আজাদ হিন্দ সরকারের কারণে নেতাজিকে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর স্বীকৃতি দেওয়া উচিত। রাজ্যসভায় আমি নেতাজি মৃত্যুরহস্যের সব ফাইল প্রকাশ্যে আনার দাবিতে সরব ছিলাম। নেতাজি বিশ্বের মানচিত্রের একজন সেরা বিপ্লবী। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম মহানায়ক। সর্বকালের সেরা অন্যতম বাঙালি।

    কিন্তু কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে আলাদা দল গড়ে সাফল্যের প্রশ্নে নেতাজি বা আমার পরমশ্রদ্ধেয় প্রণব মুখোপাধ্যায়ের থেকে অনেক এগিয়ে এবং সফল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেতাজি দল গঠন করেছিলেন, কিন্তু তাঁর পরিচয় সেই দল হয়ে ওঠেনি। তাঁর উত্থান আরেক ভিন্ন স্রোতের নেতৃত্বে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস বাংলার মানুষের আশীর্বাদে রাজ্যে তৃতীয়বার সরকারে, কেন্দ্রে একাধিকবার সরকারে, সারা দেশে রাজনীতিতে ও উন্নয়নের মডেলে এই দলের প্রভাব।

    ফলে নেতাজির জায়গায় নেতাজির যেমন মহাউচ্চতা ছিল, আছে, থাকবে; তেমনি কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে একা দল গড়ে সাফল্যের প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৃতিত্বটা স্বীকার করুন। আপনার নেতা অশোক ঘোষ জীবিত থাকলে এই বাস্তবটা মানতেন।

    ধন্যবাদান্তে

    কুণাল ঘোষ।'

    এদিকে কুণালের এই পোস্টের জবাব দিতে গিয়ে কার্যত ঝাঁপিয়ে পড়েছে নেটপাড়া। একজন লিখেছেন, আপেলের সঙ্গে কমলার তুলনা হয় না।

    অপর একজন লিখেছেন, নেতাজি বিশ্ববন্দিত নেতা। স্বাধীনতার জন্য যে আত্মত্য়াগের মাধ্য়মে প্রবল পরাক্রমশালী ইংরেজদের হাঁটু কাঁপিয়ে দিয়েছিল তাঁদের দেশের বর্তমান নেতা নেত্রীদের সঙ্গে তুলনা নেহাতই বালখিল্য ছাড়া কিছু নয়। নেতাজি এক সময় কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র ছিলেন বলে ফিরহাদ আর নেতাজি সমতুল্য।

    কার্যত একের পর এক নেটিজেন তীব্র সমালোচনা করেছেন কুণালের কথায়।

    প্রসঙ্গত সম্প্রতি কুণাল বলেছিলেন, 'রাজনীতিতে যদি দেখি সত্যি কথা বলতে কী, খুব অপ্রিয় সত্যি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুও কিন্তু আলাদা দল নিয়ে দলীয় রাজনীতিতে সফল হতে পারেননি। তিনি একটা ঐতিহাসিক বিপ্লবী। স্বাধীনতা সংগ্রামী। তিনি নেতাজি। কিন্তু সংসদীয় রাজনীতিতে দল গড়ে ব্যর্থ হয়েছেন। প্রণব মুখোপাধ্য়ায় দল গড়ে ব্যর্থ হয়েছেন। বাংলার মাটিতে আলাদা দল গড়ে কেউ কোনও নেতা বা নেত্রী সফল হয়ে থাকেন তাহলে সেটা একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।' তারপর থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)