• কাটোয়ায় আবর্জনা সংগ্রহ করে গ্রামকে স্বচ্ছ রাখতে উদ্যোগী যুবক-যুবতীরা
    বর্তমান | ১০ জানুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, কাটোয়া: কাটোয়ার ছোটো মেইগাছি গ্রামে আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা নেই। পঞ্চায়েত থেকে বর্জ্য সংগ্রহও করা হয় না। তাই গ্রামকে স্বচ্ছ রাখতে কোমর বেঁধে নেমেছেন স্থানীয় যুবক-যুবতীরাই। তাঁরা গ্রামের নানা জায়গায় বিদ্যুতের খুঁটি, গাছে জলের জারিক্যান বেঁধে রাখছেন। এলাকাবাসী সেখানেই আবর্জনা ফেলছেন। নির্দিষ্ট দিনে ওই আবর্জনা গ্রামের বাইরে ফেলে আসছেন যুবক-যুবতীরাই। তাঁদের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন এলাকার মানুষ।


    কাটোয়া-২ ব্লকের সিঙ্গি পঞ্চায়েতের ছোটো মেইগাছি গ্রামে ১১৬৮জন ভোটার রয়েছেন। ব্রহ্মাণী নদীর সেতু পার হয়ে ওই গ্রামে যাওয়া যায়। ছোট গ্রাম হলেও সবাই মিলেমিশে থাকেন। রাজ্যের সমস্ত পঞ্চায়েতের প্রতিটি গ্রামে কঠিন বর্জ্য পৃথকীকরণ শুরু হয়েছে। ই-রিকশ করে গ্রামে গ্রামে আবর্জনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। এসডব্লুএম প্রকল্পে তা থেকে জৈব সার হচ্ছে। কিন্তু সিঙ্গি পঞ্চায়েতের ছোট মেইগাছি গ্রামে এরকম কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তাই প্রায় একবছর ধরে গ্রামের যুবক-যুবতীরা কমিটি তৈরি করে আবর্জনা সংগ্রহ করছেন। তাঁদের একটাই উদ্দেশ্য, নিজেদের গ্রাম পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা। 


    ওই গ্রামের বধূ গীতা ঘোষ, সুতপা ঘোষ বলেন, সব্জির খোসা, প্লাস্টিক এসব ফেলার কোনও ব্যবস্থা করেনি পঞ্চায়েত। তাই রাস্তায় থাকা জ্যারিক্যানে ফেলে আসি। এই উদ্যোগ যাঁরা নিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে সুদীপ্তা ঘোষ, কুমকুম ঘোষ বলেন, আমরা চাই, আমাদের গ্রাম স্বচ্ছ থাকুক। না হলে রোগব্যাধি বাড়বে। তাই নিজেরাই এই ব্যবস্থা করেছি। জ্যারিক্যানে জমা আবর্জনা একদিন সবাই মিলে গ্রামের বাইরে নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলে আসি। এলাকার বাসিন্দা টুটুল ঘোষ বলেন, গ্রামের যুবক-যুবতীদের এমন উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসনীয়।


    সিঙ্গি পঞ্চায়েতের উপপ্রধান দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায় বলেন, আসলে আমাদের এসডব্লিউএম প্রকল্প করার জায়গা পেতে দেরি হয়েছে। আগামী মাস থেকে আমরা গ্রামে গ্রামে বর্জ্য সংগ্রহ করব। মাসের নির্দিষ্ট সময়ে পঞ্চায়েতে তরফে নিকাশিনালা সাফাই করা হয়।
  • Link to this news (বর্তমান)