সংবাদদাতা, হরিশ্চন্দ্রপুর: ২০১৭ সালের বন্যায় ভেঙে গিয়েছিল একমাত্র ঘর। পলিথিন টাঙিয়ে দৃষ্টিহীন স্বামীকে নিয়ে বাস করছিলেন স্ত্রী। বাংলার বাড়ির প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা পেয়ে উচ্ছ্বসিত সেই দম্পতি। হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা বিশুয়া দাস (৬৮)। ২০১৭ সালের বন্যায় তার একমাত্র ঘর ভেঙে যায়। তখন থেকেই চরম দুর্দশায় কাটছিল তাঁদের।
বিশুয়া বলেন, জানালা, দরজাহীন জরাজীর্ণ ঘরে বাস করছিলাম। বাঁশের খুঁটি দিয়ে কোনওরকমে বাড়িটি দাঁড় করিয়ে রেখেছিলাম। আতঙ্ক নিয়ে রাতে ঘুমাতাম। বাংলার বাড়ির প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা পেয়ে ইট ও নির্মাণ সামগ্রী কিনেছি। এবার মাথার উপরে একটা ছাদ হবে।
স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য মামণি দাস বলেন, ‘পরিবারটি অত্যন্ত দরিদ্র। তবে বিশুয়ার ভাতার ব্যবস্থা ও প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট হয়নি।’ বিডিও সৌমেন মণ্ডল ভাতা চালু করিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। নিজস্ব চিত্র