• পৌষ পার্বণের আগে সরা তৈরির ব্যস্ততা শহরের পালপাড়ায়
    বর্তমান | ১০ জানুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ: দুর্গোৎসবের পর পৌষ পার্বণই ভরসা। কালিপুজোর সময় লক্ষ লক্ষ প্রদীপ তৈরিতে দিনরাত এক করে দিয়েছেন রায়গঞ্জের পালপাড়ার বাসিন্দারা। তারপর মাঝে কয়েকমাসের বিরতি। এবার পৌষ পার্বণের আগে তাঁদের ব্যস্ততা বেড়েছে মাটির সরা বানাতে। রায়গঞ্জের পালপাড়ায় চলছে শেষমুহূর্তের কাজ। 


    পৌষ মাসের শেষদিন অর্থাৎ ১৪ জানুয়ারি বাংলার ঘরে ঘরে পালিত হবে পৌষ পার্বণ। সেদিন রকমারি পাটিসাপ্টা, ভাপা পিঠে, পুলি, পায়েস ঘরে ঘরে তৈরি হয়। স্বাগত জানানো হয় মাঘ মাসকে।


    রকমারি পিঠে তৈরির নানা পদ্ধতি চালু আছে। সেগুলির মধ্যে সরু চাকলি ও ভাপা পিঠে তৈরির জন্য প্রয়োজন বিভিন্ন আকৃতির মাটির সরার। কয়েক সপ্তাহ ধরে তাই সরা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে কুমোরপাড়ায়। পালপাড়ায় সার দিয়ে শুকানো হচ্ছে সরা। শেষে ভাটিতে পোড়ানোর কাজ চলছে। এই সরা রায়গঞ্জ তথা উত্তর দিনাজপুরে শুধু 


    নয়, জেলার গণ্ডি পেরিয়ে চলে যায় ভিনরাজ্যেও। 


    সুভাষগঞ্জের পালপাড়ার প্রবীণ মৃৎশিল্পী আশা পাল বলেন, প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে স্টিমারে পিঠে তৈরির চল শুরু হয়েছে। কিন্তু মাটির সরায় তৈরি সরু চাকলি, ভাপা পিঠের স্বাদ আজও অকৃত্রিম। তাই কয়েক সপ্তাহ আগে থেকে আমাদের মহল্লায় মাটির সরা নেওয়ার জন্য বায়না করে গিয়েছেন অনেকে। ভিনরাজ্য থেকেও কিছু অর্ডার এসেছে। 


    ইতিমধ্যে রায়গঞ্জের বিভিন্ন বাজারে একপ্রস্থ মাটির সরা পাঠানো হয়েছে। দু’একদিনের মধ্যে আরও লাগবে। যদিও ওই পালপাড়ার অজয় পাল সহ কয়েকজনের বক্তব্য, আগের থেকে চাহিদা কমছে মাটির সরার। কারণ, অনেকেই পিঠে পুলি আর বাড়িতে করছেন না। রেডিমেড কিনে আনছেন। ফলে সরা বিক্রি আগের থেকে কিছুটা কমেছে। তবে অনেকেই সরা কিনছেন পিঠে তৈরির জন্য।
  • Link to this news (বর্তমান)