• বন্ধ মেচপাড়া চা বাগান
    বর্তমান | ১০ জানুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: একটি নোটিসে কর্মহীন হয়ে পড়লেন কালচিনির মেচপাড়া চা বাগানের প্রায় ১৩০০ শ্রমিক। বুধবার গভীর রাতে সাসপেনশন অব ওয়ার্কের নোটিস ঝুলিয়ে দিয়ে চুপিসারে বাগান ছেড়ে চলে যায় মালিকপক্ষ। বৃহস্পতিবার কাজে এসে শ্রমিকরা দেখেন মালিকপক্ষ নোটিস ঝুলিয়ে দিয়ে বাগান ছেড়ে চলে গিয়েছে। হঠাৎ করে এভাবে কর্মহীন হয়ে পড়ায় শ্রমিকরা মুষড়ে পড়েছেন। 


    বাগান বন্ধের কারণ হিসেবে কর্তৃপক্ষ নোটিসে উল্লেখ করেছে শ্রমিকরা কর্মসংস্কৃতি মানছেন না। যদিও শ্রমিক সংগঠনগুলি এভাবে বাগান ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য মালিকপক্ষের উপর ক্ষুব্ধ। শ্রমদপ্তরের বীরপাড়া সার্কেলের সহকারী শ্রম কমিশনার অমিত দাস বলেন, মেচপাড়া বাগান কর্তৃপক্ষ সাসপেনশন অব ওয়ার্কের নোটিস দিয়ে চলে গিয়েছে। বাগানটি খুলতে আগামী সোমবার জেলার প্রশাসনিক ভবন ডুয়ার্সকন্যায় ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডাকা হয়েছে। এনিয়ে জেলায় মোট বন্ধ চা বাগানের সংখ্যা দাঁড়াল ১০টি। জেলার অন্য ন’টি বন্ধ বাগান হল রায়মাটাং, কালচিনি, দলসিংপাড়া, তোর্সা, মহুয়া, লঙ্কাপাড়া, রামঝোরা, দলমোড় ও ঢেকলাপাড়া। সবক’টি বন্ধ বাগানই কালচিনি ও মাদারিহাট ব্লকের মধ্যে। শ্রমদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, মেচপাড়া চা বাগানের শ্রমিকদের দু’টি ত্রিপাক্ষিক বেতন বকেয়া আছে। বাগানের সাব স্টাফদেরও এক মাসের বেতন বকেয়া। গত বছরের ৩০ মার্চ বাগানে একটি বৈঠক হয়েছিল। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল শ্রমিকরা বাগানের কর্মসংস্কৃতি মেনে চলবে। কিন্তু শ্রমিকরা কর্মসংস্কৃতি মানছে না বলে বাগান কর্তৃপক্ষের অভিযোগ। কর্তৃপক্ষের আরও অভিযোগ, কর্মসংস্কৃতি মানার কথা বলা হলে গত নভেম্বর মাসে কতিপয় শ্রমিক ধারালো অস্ত্র নিয়ে বাগানের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজারকে ধাওয়া করে। মেচপাড়া চা বাগানটি টি অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার (টাই) অধীনে। 


    এবিষয়ে মেচপাড়া বাগানের মালিক বা ম্যানেজারের বক্তব্য মেলেনি। তবে টাইয়ের উত্তরবঙ্গের ম্যানেজার চিন্ময় ধর বলেন, শ্রমিকরা বাগানের কর্মসংস্কৃতি মানছেন না। উপরন্তু কর্মসংস্কৃতির কথা বললে ধারালো অস্ত্র নিয়ে কর্তৃপক্ষের দিকে তেড়ে আসে। আমরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি। তাই বাগান বন্ধ রাখা হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)