রাজু চক্রবর্তী, কলকাতা: সরকারি বাস পরিষেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে একগুচ্ছ পদক্ষেপ করছে রাজ্য। যাত্রীদের দাবি মেনে রাস্তায় আরও বেশি সংখ্যক বাস নামাতে ৯০০ কর্মী নিয়োগ করতে চলেছে পরিবহণ দপ্তর। সূত্রের দাবি, ৪৫০ জন বাস চালক ও ৪৫০ জন কন্ডাক্টর পদে চাকরি পেতে চলেছেন। সম্প্রতি অর্থদপ্তর এই ৯০০ অস্থায়ী পরিবহণ কর্মী নিয়োগের প্রস্তাব মঞ্জুর করেছে। মন্ত্রিসভার আগামী বৈঠকে তা অনুমোদন করিয়ে নেওয়ার পরেই শুরু হবে নিয়োগ প্রক্রিয়া। একইসঙ্গে যাত্রী পরিষেবায় ২০০টি নতুন সিএনজি বাস রাজপথে নামতে চলেছে। যাত্রীদের অভিযোগ, চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত সংখ্যক সরকারি বাস পাওয়া যায় না। জনতার এই আর্তি পৌঁছয় স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কানে। সেজন্য গত বৃহস্পতিবার পরিবহণমন্ত্রী এবং বিভাগীয় সচিবদের এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেন তিনি।
সরকারি ডিপোতে এই মুহূর্তে যত সংখ্যক বাস রয়েছে ট্রিপের সংখ্যা কয়েকগুণ বাড়ালে রাস্তায় তার উপস্থিতি আরও বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু দিনে-রাতে বাড়তি ডিউটি করার পর্যাপ্ত কর্মীর অভাব থাকায় ফ্লিটের সংখ্যা বাড়ানো যাচ্ছিল না। সেই সূত্রে পরিবহণ দপ্তরের পাঠানো প্রস্তাব অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে অর্থদপ্তরের অনুমতি পেয়ে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সরকারি বাসের হালহকিকত জানতে পথে নেমেছেন বিভাগীয় মন্ত্রী এবং সচিব ও অন্য আমলারা। তখনই যাত্রীরা একাধিক নয়া রুটে সরকারি বাস চালানোর নানা দাবি জানান। সরকারি স্তরে তা যাচাই করে যাত্রী সংখ্যা এবং চাহিদার সামঞ্জস্য বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে। তাতে নতুন রুট চালু করতে আরও বেশি সংখ্যক বাস প্রয়োজন। সেই সূত্রে নতুন বছরে আরও ২০০টি পরিবেশ বান্ধব বাস যাত্রী পরিষেবায় যুক্ত হতে চলেছে।
চলতি অর্থবর্ষ শেষ হবে ৩১ মার্চ। নবান্ন সূত্রের দাবি, রাজ্যের বর্তমান আর্থিক সংকটে অধিকাংশ দপ্তরের বাজেট বরাদ্দ কাটছাঁট করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, নতুন প্রস্তাব কিংবা আগের বহু প্রকল্পের ক্ষেত্রেও টাকার জোগান আগামী অর্থবর্ষে মিলবে বলে বেশিরভাগ দপ্তরকে ইতিমধ্যেই বার্তা দেওয়া হয়েছে। তবে আম জনতার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে সংযুক্ত পরিবহণ দপ্তরের ক্ষেত্রে সেই কড়াকড়ি আরোপ হচ্ছে না। প্রশাসনের শীর্ষ মহলের নির্দেশে খুব শীঘ্রই মোটা অর্থ পেতে চলেছে পরিবহণ দপ্তর। তা দিয়ে কয়েকশো বসে যাওয়া এসি-নন এসি বাস মেরামতি করে পুনরায় রাস্তায় নামানো হবে। সব মিলিয়ে বিভিন্ন আঙ্গিকে বাংলার পথে সার্বিকভাবে সরকারি বাসের চলাফেরা বাড়াতে সক্রিয় নবান্ন।