২ বছর আগে জমি অধিগ্রহণ করলেও সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেয়নি কেন্দ্র
বর্তমান | ১০ জানুয়ারি ২০২৫
সংবাদদাতা, বনগাঁ: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের সর্বত্র কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ না হওয়ায় বিজেপি বারে বারে রাজ্যের উপর দায় চাপিয়েছে। কেন্দ্রের শাসকদলের দাবি, রাজ্য জমি না দেওয়ায় সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া যাচ্ছে না। যে কারণে অনুপ্রবেশ বাড়ছে। বিজেপির এই অভিযোগের উল্টো ছবি উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার আংরাইল সীমান্তে। এখানে বিস্তীর্ণ এলাকায় কাঁটাতার নেই। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার জন্য দু’বছর আগে জমি অধিগ্রহণ করা হলেও এখনও সেই কাজ শুরু করতে পারেনি কেন্দ্রীয় সরকার। কয়েকটি জায়গায় আবার জমি জরিপের কাজ চলছে ঢিমেতালে। ফলে সেই জমিতে চাষাবাদ করতে পারছেন না কৃষকরা। বাসিন্দারাই চাইছেন, দ্রুত জমি চিহ্নিত করে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করুক সরকার।
বনগাঁ মহকুমায় প্রায় ৯২ কিলোমিটার আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে। যার মধ্যে ২০ কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতার নেই। বুধবার আংরাইল সীমান্ত পরিদর্শনে যান বনগাঁ দক্ষিণের বিধায়ক স্বপন মজুমদার। সীমান্ত ঘুরে তিনি দাবি করেন, রাজ্য সরকার জমি অধিগ্রহণ করে না দেওয়ায় কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। তবে বাসিন্দাদের অনেকেরই দাবি, প্রায় দু’বছর আগে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। অনেকে টাকা পেয়েও গিয়েছেন। আংরাইল সীমান্তে বেশ কয়েক শতক জমি রয়েছে অভিষেক মণ্ডলের। তিনি বলেন, দু’বছর আগে প্রায় ৬৬ শতক জমি সরকার অধিগ্রহণ করেছে। জমির প্রাপ্য টাকাও পেয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি দ্রুত কাজ শুরু হোক।
আংরাইলের বাসিন্দা অলোককুমার মণ্ডল বলেন, তাঁর প্রায় ২৫ শতক জমি সরকার অধিগ্রহণ করেছে। বছরখানেক আগে জমির টাকা পেয়েছি। কিন্তু এখনও সেই জমি চিহ্নিত হয়নি। কাঁটাতারের বেড়া না হলে বুঝতে পারছি না, কতটা জমি অবশিষ্ট থাকবে। বাসিন্দারা চাইছেন, দ্রুত কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হোক। তাঁদের অভিযোগ, বেড়া না থাকায় বিএসএফ রাস্তার উপর পাহারা দেয়। ফলে বিএসএফের অনুমতি নিয়ে জমিতে চাষ করতে যেতে হয়। বিভিন্ন সময় নানা সমস্যায় পড়তে হয় তাঁদের। কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ শেষ হলে জমিতে যেতে বিএসএফের অনুমতি লাগবে না।