• চন্দ্রকোণার জমির ভাগ্য ঝুলে কোর্টে
    এই সময় | ১০ জানুয়ারি ২০২৫
  • এই সময়: পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণায় ৩১৮ একর জমি বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা প্রয়াগ–কে এক সময়ে দেওয়া হয়েছিল ফিল্ম সিটি গড়তে। সারদা–র পর্দাফাঁসের পর বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা নিয়ে সার্বিক ভাবে মামলা হয় হাইকোর্টে। সেই মামলা বিচারাধীন থাকাকালীনই গত বছর জানা যায়, রাজ্য ওই জমি শ্যাম স্টিল সংস্থাকে বিক্রি করেছে শিল্পের জন্যে।

    বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার সম্পত্তি নিলামে তুলে প্রাপ্ত অর্থ ওই সব সংস্থায় লগ্নি করে প্রতারিতদের দেওয়ার বদলে কী করে রাজ্য একটি শিল্পসংস্থাকে ওপেন টেন্ডার ছাড়াই বিক্রি করল — আগেই সে প্রশ্ন তুলেছিল হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার প্রয়াগ নিয়ে শুনানিতে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট করে দিল, ওই জমির মালিকানা–সহ যাবতীয় বিষয় নির্ভর করবে হাইকোর্টে মামলার পরিণতির উপরেই।

    ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, রাজ্যের সঙ্গে ওই সংস্থার (শ্যাম স্টিল) কী চুক্তি হয়েছে, তা নিয়ে হাইকোর্ট মাথা ঘামাবে না। চন্দ্রকোণার ওই জমি–সহ যাবতীয় সম্পত্তির নতুন করে ভ্যালুয়েশন করতে এ দিনই আদালত নির্দেশ দেয় সেবি–কে। আদালতের নির্দেশ, এই কাজে নথিপত্র দেওয়া–সহ পরিকাঠামোগত যাবতীয় সাহায্য করতে হবে রাজ্যকে।

    ১৩ ফেব্রুয়ারি ইনভেন্ট্রি ও ভ্যালুয়েশন সংক্রান্ত সেবি–র রিপোর্ট পাওয়ার পরে ওই সম্পত্তি যে নিলাম করতে চায় হাইকোর্ট, তা–ও স্পষ্ট করে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের বক্তব্য, সেই নিলামে যদি ওই সংস্থা (শ্যাম স্টিল) অংশ নিয়ে ন্যায্য দাম দিতে পারে, তখন তারা ওই সম্পত্তির অধিকার পেতে পারে।

    এ দিন শ্যাম স্টিল অভিযোগ করে, ৪৩ কোটি টাকা দিয়ে তারা রাজ্যের থেকে জমি কিনেছে। কিন্তু রাজ্যই এখন সে জমি ব্যবহার করতে দিচ্ছে না। ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য, কার সঙ্গে কী চুক্তি করে রাজ্য জমি বিক্রি করেছে, সেই বিষয়ে ঢুকবে না আদালত। পাবলিক মানি ব্যবহার করে প্রয়াগ ওই জমি কিনেছিল। ওই জমি বিক্রি করতে হবে পদ্ধতি মেনেই। রাজ্যকে আদালতের প্রশ্ন, ওই জমি দেওয়ার ক্ষেত্রে কি নিলাম হয়েছে? যদি না হয়ে থাকে তা হলে কেন হয়নি? অন্তত কাগজে বিজ্ঞাপনের পর নির্দিষ্ট সময় দিয়ে কী সম্ভাব্য ক্রেতাদের আগ্রহ বোঝার চেষ্টা হয়েছে?

  • Link to this news (এই সময়)