• পঞ্চায়েত সমিতির ৪ কর্মাধ্যক্ষ সরতেই আবির খেলা তৃণমূলের
    এই সময় | ১০ জানুয়ারি ২০২৫
  • এই সময়, আরামবাগ: দীর্ঘদিন তৃণমূল সভাপতি দুর্নীতির অভিযোগে সরব হয়েছিলেন। এ বার তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির চার কর্মাধ্যক্ষের অপসারণের প্রক্রিয়া শেষ হলো। সেই আনন্দে সবুজ আবির মেখে আনন্দে মেতে উঠলেন তৃণমূলেরই নেতা–কর্মীরা।

    বৃহস্পতিবার তৃণমূল পরিচালিত খানাকুল–১ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত, জনস্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ ও শিক্ষা দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষদের অপসারণ করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি–সহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে অনাস্থা নিয়ে এসেছিলেন খানাকুল–১ পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সভাপতি শম্পা মাইতি। যা নিয়ে এ দিন আরামবাগ মহকুমাশাসকের দপ্তরে প্রশাসনিক বৈঠক হয়।

    অভিযুক্ত কর্মাধ্যক্ষরা কেউই বৈঠকে যোগ দেননি। অপসারণের খবর পেয়ে ব্লকের তৃণমূল নেতারা আরামবাগ মহকুমাশাসকের অফিসের বাইরে আবির খেলেন। এই আনন্দে সামিল হন খানাকুলের দুই ব্লকের তৃণমূল সভাপতিরাও।

    ব্লক সভাপতিরা জানান, দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে দল। কিন্তু দুর্নীতিগ্রস্তরা তা হলে দলের টিকিট কী ভাবে পেয়েছিল? তাঁরা কর্মাধ্যক্ষ কী করে হয়েছিল? তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, খানাকুলের দাপুটে নেতা তথা সদ্য প্রাক্তন খানাকুল–১ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নইমুল হকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন তাঁরই অনুগামী খানাকুল–১ ও ২ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি দীপেন মাইতি ও রমেন প্রামাণিক।

    তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন খানাকুল–১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শম্পা মাইতিও। পঞ্চায়েত সমিতির অফিস চত্বরে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মারামারিও হয়। সে দিন শম্পার মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। দু’পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন। দু’পক্ষ একে অন্যের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়।

    দীপেন মাইতি ও রমেন প্রামাণিকের বক্তব্য, ‘দলে দুর্নীতিবাজদের ঠাঁই নেই। যাঁরা তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁরাই নিজেদের স্বার্থের জন্য পদ দখল করেছিলেন। দল শাস্তি দিয়েছে।’ যদিও এ বিষয়ে অপসারণ হওয়া কর্মধ্যক্ষরা কোনও মন্তব্য করেননি।

  • Link to this news (এই সময়)