• সাহেব শুনতে ও বলতে পারছে, কঠিন অস্ত্রোপচারে সাফল্য এনআরএস হাসপাতালের
    আজকাল | ১০ জানুয়ারি ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: এবার এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালেও চালু হল 'ককলিয়ার ইমপ্ল্যান্টেশন'। গত ডিসেম্বরে প্রথম এই যন্ত্র স্থাপন করা হল পূর্ব মেদিনীপুরের সাহেব আদক নামে সাত বছরের একটি শিশুর কানে। অস্ত্রোপচারের পর সাহেব এখন শুনতে পাচ্ছে এবং ধীরে ধীরে কথা বলতেও পারছে।শুক্রবার এনআরএস হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডাঃ পীতবরণ চক্রবর্তী বলেন, 'এই হাসপাতালে এটাই প্রথম ককলিয়ার ইমপ্ল্যান্টেশন। অস্ত্রোপচার করে যন্ত্রটি শিশুটির কানে বসানোর পর সে এখন শুনতে যেমন পাচ্ছে তেমনি ধীরে ধীরে শব্দও উচ্চারণ করতে পারছে।'

     

     

    হাসপাতালের ইএনটি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডাঃ সুমন্ত কুমার দত্ত বলেন, জন্মের পর যে সমস্ত শিশু শ্রবণশক্তির দুর্বলতার জন্য শুনতে পায় না তারা বলতেও পারে না। যারা কম শুনতে পায় তাদের ক্ষেত্রে 'হিয়ারিং এইড' ব্যবহার করিয়ে ফল পাওয়া যায়। আবার যারা একেবারেই শুনতে পায় না তাদের ক্ষেত্রে ককলিয়ার ইমপ্ল্যান্টেশন করানো হয়। যেটা সাহেবের ক্ষেত্রে হয়েছে।' কানের ভিতরকার যে অংশের জন্য শুনতে অসুবিধা হয় সেখানে ককলিয়ার ইমপ্ল্যান্টেশন-এর মাধ্যমে একটি যন্ত্র অস্ত্রোপচার করে স্থাপন করে দেওয়া হয়। এই যন্ত্রের বাইরের অংশ লাগানো থাকে কানের উপরে মাথার সঙ্গে। অন্য অংশটি থাকে কানের ভিতরে।

     

     

    বাইরের অংশ 'সিগন্যাল রিসিভিং'-এর কাজ করে। সেই সিগন্যাল ভিতরে চলে যায় ব্যাটারি চালিত একটি যন্ত্রে। যা শুনতে সাহায্য করে। শিশুটির মা জানিয়েছেন, সাহেবের যখন দেড় বছর বয়স তখন তাঁরা বুঝতে পারেন সে শুনতে বা বলতে পারছে না। এরপর বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা করিয়ে আশানুরূপ ফল না পেয়ে গতবছরের ফেব্রুয়ারি মাসে যোগাযোগ করেন এনআরএস হাসপাতালে। সেখানে ডাঃ সুমন্ত দত্ত পরীক্ষা করে বুঝতে পারেন শিশুটির ককলিয়ার ইমপ্ল্যান্টেশন-এর প্রয়োজন। সেইমতো গত ডিসেম্বরে তিনি ইমপ্ল্যান্টেশন করেন। জানা গিয়েছে, বেসরকারি ক্ষেত্রে দামি এই যন্ত্র প্রতিস্থাপনের খরচ ১২ লক্ষ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা। কিন্তু সরকারি হাসপাতালে হওয়ার জন্য সাহেবের পরিবারকে এক টাকাও খরচ করতে হয়নি। 
  • Link to this news (আজকাল)