• মোটা টাকা লোনের টোপ, ভুল করলেই প্রতারণার ফাঁদে আপনিও
    এই সময় | ১০ জানুয়ারি ২০২৫
  • ‘নমস্কার, আমি…(নামী বেসরকারি ব্যাঙ্কের নাম) ব্যাঙ্ক থেকে বলছি’, এই বলে টেলিফোনে কথোপকথন শুরু করা হতো। এরপর লোন পাইয়ে দেওয়ার ভুরি ভুরি প্রতিশ্রুতি। আর সেই প্রতিশ্রুতি দিয়ে হাতানো হতো মোটা টাকা। প্রতারণার শিকার হয়েছিলেন বহু মানুষ। গত ২ বছর ধরে রীতিমতো অফিস ভাড়া করে এ ভাবে প্রতারণা চক্র চলছিল বারাসতের শিশিরকুঞ্জ স্টার মলের বিপরীতে একটি ভাড়া বাড়িতে। বৃহস্পতিবার রাতে এই চক্র চালানোর অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, ধৃতদের থেকে অসংখ্য ব্যাঙ্কের জাল নথি, এমনকী RBI-এর জাল নথিও উদ্ধার হয়েছে। 

    ধৃতরা হল সুমন দে, পুজা বিশ্বাস, শম্পা দে, শুভ সিংহ, সজীব মজুমদার। নিউ ব্যারাকপুরের বাসিন্দা সুমনই এই চক্রের অন্যতম পাণ্ডা বলে সন্দেহ পুলিশের। বাকিদের বাড়ি মধ্যমগ্রাম, বারাসত, ঘোলা, হাবড়ায়। 

    সুমন দে বাড়ি ভাড়া নিয়ে ভুয়ো টেলি কলিং সেন্টারটি চালাত। সেখানে ৩৪ জন পুরুষ-মহিলা কাজ করত। 

    কী ভাবে চলত এই প্রতারণা চক্র?

    এই ৩৪ জন লোনের প্রলোভন দেখিয়ে উপভোক্তার থেকে মোটা টাকা অগ্রিম নিত। তারপর আর তা ফেরত দিত না। 

    বারাসত পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্পর্শ নিলাঙ্গী জানান, পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হানা দেয় শিশিরকুঞ্জের ওই টেলি কলিং সেন্টারে। সে সময়ে অফিসে একাধিক কর্মী ছিলেন। দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেপ্তার করা হয় সুমন দে-সহ ৫ জনকে। তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়  ৪২টি মোবাইল, ২টি ল্যাপটপ এবং একটি ডেস্কটপ। উদ্ধার হয়েছে একাধিক ব্যাঙ্কের জাল নথিও। 

    এ ছাড়াও বেশ কিছু ডায়েরি উদ্ধার হয়েছে যেখানে লেখা কী ভাবে উপভোক্তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে, সেই স্ক্রিপ্ট। ধৃতদের এ দিন বারাসত আদালতে তোলা হয়। তাদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হয় পুলিশের তরফে। এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

  • Link to this news (এই সময়)