• শান্তনু-আরাবুলকে সাসপেন্ড করল তৃণমূল, দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ...
    আজকাল | ১১ জানুয়ারি ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: শান্তনু শেন ও আরাবুল ইসলামকে সাসপেন্ড করল তৃণমূল। দলবিরোধী কাজের অভিযোগে এই দুই নেতাকে সাসপেন্ড করেছে তৃণমূলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি। তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার ওই কমিটির বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।

    ভাঙড়ের প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলামকে এর আগেও দল সাসপেন্ড করেছিল। সেবার সাসপেনশনের মেয়াদ ছিল ৬ বছর। পরে অবশ্য সেই শাস্তি প্রত্যাহার করে ভাঙড়ের 'তাজা' নেতাকে দলে ফিরিয়ে নেয় শাসক দল। গত পঞ্চায়েত ভোটে জিতে আরাবুল ইসলাম পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যও হন। কিন্তু, গত পঞ্চায়েত ভোটে ভাঙড়ে হিংসা ছড়িয়েছিল। আইএসএফ কর্মীকে খুনের অভিযোগে গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি আরাবুলকে গ্রেফতার করেছিল উত্তর কাশীপুর থানার পুলিশ। ৭ মাস পর জেল থেকে মুক্তি পান তিনি। এরপর তৃণমূল নেতা শওকত মোল্লার সঙ্গে তাঁর সংঘাত প্রকট হয়। নতুন বছরের প্রথমদিনই আরাবুলের ওপর হামলার অভিযোগও ওঠে শওকতের বিরুদ্ধে। খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেন আরাবুল। শেষপর্যন্ত দলবিরোধী কাজের অভিযোগে আরাবুল ইসলামকেই সাসপেন্ড করল রাজ্যের শাসক দল।

    অন্যদিকে আরজি কর কাণ্ডের পর মুখ খুলেছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ তথা চিকিৎসক নেতা শান্তনু সেন। নিশানা করেন হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে। প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যক্ষেত্রের নানা বিষয়ে। এরপরই তৃণমূলের মুখপাত্র পদ থেকে শান্তনুকে সরিয়ে দেওয়া হয়। আর জি করের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এবার দল থেকেই তাঁকে সাসপেন্ড করে দিল তৃণমূল নতৃত্ব।

    দলীয় সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর শান্তনু সেন সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, "আমি এখনও দলের শৃঙ্খলা-রক্ষা কমিটির কোনও চিঠি পাইনি। তবে দলবিরোধী কোনও কাজ আমি করিনি। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দলের কথা ভেবেছি। পেশার কাজের বাইরে শুধু তৃণমূলেরই কাজ করেছি। ইডি-সিবিআই আমার বাড়িতে হানা দেয়নি। আমার কোন কাজটি দলবিরোধী হিসাবে বিবেচিত হল, সেটাই বুঝতে পারছি না।"

    আজকাল ডট ইনের তরফে আরাবুল ইসলামের সঙ্গেও ফোনে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তবে 'পরে কথা বলব' বলে তিনি ফোন কেটে দেন। 

    (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
  • Link to this news (আজকাল)