• টেন্ডারি না ডেকেই কম্বল সরবরাহের বরাত পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ, বিতর্কে মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদ...
    আজকাল | ১১ জানুয়ারি ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: রাজ্য সরকারের চালু করা ই-টেন্ডারিং ব্যবস্থাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে লক্ষাধিক টাকার সামগ্রী কেনার জন্য একটি সংস্থাকে বরাত দেওয়ার অভিযোগ উঠল মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের বিরুদ্ধে। গোটা ঘটনাটি লিখিতভাবে জানিয়ে শুক্রবার মুর্শিদাবাদ জেলাশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন কংগ্রেসের জেলা পরিষদ সদস্য মহম্মদ তৌহিদুর রহমান। যদিও বিষয়টি নিয়ে কিছুই জানা নেই বলে জানিয়েছেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি রুবিয়া সুলতানা। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে তারপরে বিস্তারিতভাবে বলতে পারবেন বলে তিনি জানিয়েছেন। 

    মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, শীতের মরশুমে জেলার বেশ কিছু মানুষকে কম্বল প্রদান করার জন্য সম্প্রতি জেলা পরিষদ একটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরপর গত ৩ জানুয়ারি ২৬০০টি কম্বল কেনার জন্য জেলা পরিষদের তরফ থেকে একটি 'কোটেশন' আহ্বান করা হয়। রাজ্য সরকারের অর্থ দপ্তরের নির্দেশিকা অনুযায়ী, ১ লক্ষ টাকার ঊর্ধ্বে কোনও সামগ্রী কিনতে হলে তা ই-টেন্ডারিং পদ্ধতির মাধ্যমে কিনতে হয়। ৫ লক্ষ টাকার ঊর্ধ্বে কোনও জিনিস কিনলে ক্রয় সম্পর্কিত তথ্যাদি ইংরেজি এবং বাংলা খবরের কাগজ এবং রাজ্য সরকারের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হয়।। 

    তৌহিদুরের অভিযোগ, ''জেলা পরিষদের তরফ থেকে ২৬০০ কম্বল কেনার জন্য ৯.৮৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কিন্তু কোনও এক অজ্ঞাত কারণে গোটা প্রক্রিয়াটি ই-টেন্ডারিং ব্যবস্থার মাধ্যমে না করে 'কোটেশন' ডেকে আব্বাসউদ্দিন শেখ নামে এক ব্যক্তির সংস্থাকে কাজের বরাত দিয়ে দেওয়া হয়েছে।'' তাঁর আরও অভিযোগ, ''জেলা পরিষদের তরফ থেকে ৩ জানুয়ারি এই 'কোটেশন' আহ্বান করা হয়। মাঝে ৪ এবং ৫ তারিখ শনি ও রবিবারের জন্য জেলা পরিষদে ছুটি ছিল। ৬ তারিখে 'কোটেশন' জমা দেওয়ার শেষ দিনই আব্বাসউদ্দিনের সংস্থা 'কোটেশন' জমা দেয়। সেদিনই তাঁকে কম্বল সরবরাহ করার জন্য ওয়ার্ক অর্ডার ইস্যু করে দেওয়া হয় জেলা পরিষদের তরফ থেকে।'' তিনি বলেন, ''গোটা বিষয়টি আমরা জেলা পরিষদের এক্সিকিউটিভ অফিসার তথা জেলাশাসককে লিখিতভাবে জানিয়েছি। আমরা আশা করছি তিনি ব্যবস্থা নেবেন।''

    কম্বল বিতর্কে রুবিয়া সুলতানা বলেন, ''মাঝে কয়েকদিন আমি বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত ছিলাম তাই কম্বল কেনার বিষয়টি আমার ঠিক জানা নেই। খোঁজ নিয়ে আমি বলতে পারব।'' 

    অন্যদিকে, কম্বল সরবরাহকারী সংস্থার তরফে আব্বাসউদ্দিন শেখ বলেন, ''জেলা পরিষদের তরফ থেকে আমাকে যেভাবে কাজ করতে বলা হয়েছিল আমি তেমনভাবেই কাজ করেছি। 'কোটেশন'-এর শর্ত মেনে ইতিমধ্যে আমি জেলা পরিষদের কম্বল সরবরাহ করে দিয়েছি। আশা করছি দ্রুত তার টাকা পেয়ে যাব।''
  • Link to this news (আজকাল)