তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড শান্তনু সেন ও আরাবুল, দলবিরোধী কাজের অভিযোগ
আজ তক | ১১ জানুয়ারি ২০২৫
দলবিরোধী কাজের অভিযোগে তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড করা হল ড: শান্তনু সেন ও আরাবুল ইসলামকে। আরজি করের সময় দলের বিরুদ্ধে কথা বলার অভিযোগে শান্তনু সেনকে সাসপেন্ড করা হয়। অন্যদিকে, ভাঙড়ে সওকত মোল্লার সঙ্গে বাগ্বিতন্ডা ও সংঘাতের জেরে আরাবুলকেও সাসপেন্ড করে তৃণমূল।
এক সংবাদমাধ্যমে শান্তনু বলেন, "সন্দীপ ঘোষের কুকীর্তির বিরুদ্ধে কথা বলেছিলাম। কোন কাজটা দলবিরোধী বুঝতে পারছি না। আমার বিরুদ্ধে ইডি-সিবিআই তল্লাশি করেনি। কোনও দুর্নীতির সঙ্গে নাম জড়ায়নি। চুরি করে ধরা পড়িনি। কোনটা দল বিরোধী কাজ করলাম? তাহলে কেন সাসপেন্ড করল? যারা পদক্ষেপ নিয়েছে তার বিরুদ্ধে কোনও কথা বলব না। তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাঁদের অধিকার আছে। আমি যেখানে যা কাজ করেছি সরকার ও দলের ভালোর জন্য কাজ করেছি। আমি আজ সকালেও দলের সমর্থনেই কথা বলে গেছি।"
রাজনৈতিক মহলে শোনা গেছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "অভিষেক দলের বাইরে নাকি? তিনি আমাদের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের নেত্রী। গত ১৪ বছরে যা উন্নতি হয়েছে ও অভিষেকের হাত ধরে দলের সংগঠন জোরালো হয়েছে। আমি তো প্রথম শুনলাম। ভাবতে সময় লাগবে কী কাজ করলাম। দলের নেতৃত্বকে অনুরোধ করব কী ভুল হয়েছে। আমার মধ্যে মূল্যবোধ রয়েছে। যদি দলবিরোধী কাজ করে থাকি, আমি ক্ষমা চাইব। আমার কাছে এই খবর আসার আগে সংবাদমাধ্যম কীকরে জেনে যাচ্ছে জানি না। আমি সঠিক সময়ে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে জানিয়েছিলাম। দলনেত্রী হয়তো সঠিক খবর পাচ্ছিলেন না। সেই সময় সছিক খবর সঠিকভাবে পৌঁছনো হয়নি। আমার নামে ভুল বোঝানো হয়েছে যে আমি নাকি আরজি কর কাণ্ডকে উস্কে দিয়েছি।"
আরজি কর কাণ্ডের পর সন্দীপ ঘোষের দুর্নীতি নিয়ে প্রথম মুখ খুলতে দেখা গিয়েছিল প্রাক্তন সাংসদ শান্তনু সেনকে। এর আগেও রোগী কল্যাণ সমিতি থেকে তাঁকে সরানো হয়েছিল। অন্যদিকে, দিন কয়েক আগেই নিজের গড়েই আক্রান্ত তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। ব্য়াপক ভাঙচুর চালানো হয় তাঁর গাড়িতে। অভিযোগ, এর নেপথ্যে রয়েছে শওকত মোল্লার অনুগামীরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।
তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসে পতাকা তুলতে গিয়েই আক্রান্ত হন আরাবুল ইসলাম। অভিযোগ, ভাঙচুর করা হয় আরাবুলের গাড়িতেই। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ভাঙড়ের ওয়াড়ি এলাকায়। পতাকা তোলার সময়ে বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা কর্মীরা আরাবুল ইসলামের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি সামলাতে ঘটনাস্থলে আসতে হয় পোলেরহাট থানার বিশাল পুলিশ বাহিনীকে।
হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন আরাবুল ও শওকতের অনুগামীরা। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ময়দানে নামে বিশাল পুলিশ বাহিনী ও ব়্য়াফ। তাঁদের উপস্থিতিতেও চলে অশান্তি। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ব্যাপক লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।