জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: জল্পনা চলছিলই। তৃণমূল কংগ্রেস থেকে শেষপর্যন্ত সাসপেন্ড করা হল শান্তনু সেনকে। রেহাই পেলেন না আরাবুল ইসলামকেও।
একজন রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ, আর একজন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার দলের মুখ। সেই শান্তনু আর আরাবুলকে কেন সাসপেন্ড? তৃণমূলের তরফে অবশ্য নির্দিষ্ট করে কোনও কারণ জানানো হয়নি। তবে সূত্রের খবর, দলবিরোধী কাজ ও শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ ছিল দুই নেতার বিরুদ্ধেই।
আরজি কাণ্ড তখন উত্তাল গোটা রাজ্য। একের পর এক মন্তব্যে দলের বিড়ম্বনা বাড়িয়েছিলেন শান্তনু। এরপর তৃণমূলের মুখপাত্র পদ থেকে বাদ পড়েন তিনি। শাসকদলের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, 'সংবাদমাধ্যমে শান্তনু সেনের বক্তব্য দলের নয়'। এরপর স্রেফ নিরাপত্তা প্রত্যাহার নয়, মেডিক্যাল কাউন্সিল থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয় শান্তনুকে। রাজ্য সরকারের মনোনীত সদস্য ছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, রাজ্যের তরফেই এই তৃণমূল নেতাকে অপসারণের সুপারিশ করা হয়। সেই সুপারিশ মেনে নিয়েছে কাউন্সিল।
এদিকে গত কয়েকদিন ধরেই ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লার সঙ্গে বারবার সংঘাতে জড়িয়েছেন আরাবুল ইসলাম। তারজেরেও অস্বস্তিতে পড়তে হয় তৃণমূলকে। সূত্রের খবর, আরাবুলের বিরুদ্ধে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অভিযোগ করেছেন শওকত। তৃণমূল বিধায়কের দাবি, তাঁকে নানাভাবে উত্যক্ত করা হচ্ছে। কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না।