• বামশাসিত কেরলে এক বিধায়ককে পেয়ে গেল তৃণমূল! অভিষেকের হাত ধরে ঘাসফুলে নির্দল পিভি
    আনন্দবাজার | ১১ জানুয়ারি ২০২৫
  • তৃণমূলশাসিত বাংলায় বামেরা শূন্য। তবে বামশাসিত কেরলে এক জন বিধায়ককে পেয়ে গেল তৃণমূল শিবির। নিলাম্বুরের নির্দল বিধায়ক পিভি আনবরকে তৃণমূলে স্বাগত জানালেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বস্তুত, কেরল থেকে প্রথম কোনও বিধায়ক তৃণমূলে যোগদান করেছেন। শুক্রবার আনবরের তৃণমূলে যোগদানের খবর জানিয়ে অভিষেক লেখেন, ‘‘কেরলের নিলাম্বুরের বিধায়ক পিভি আনবরকে তৃণমূল পরিবারে স্বাগত জানাচ্ছি। জনগণের সেবায় এবং কেরলের মানুষের অধিকারের জন্য তিনি নিবেদিত।’’

    এক সময়ে কেরলের এলডিএফ জোট সরকারের অংশ ছিলেন বিধায়ক আনবর। তবে গত বছরের সেপ্টেম্বরে তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে এলডিএফ জোট। তার আগে প্রকাশ্যে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন এবং তাঁর প্রশাসনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেছিলেন ওই বিধায়ক। তিনি এ-ও বলেন, ‘‘বিজয়ন দুর্নীতিগ্রস্ত কিছু আধিকারিককে আড়াল করছেন।’’ বহিষ্কারের পর কেরলে বিরোধী জোটে যোগদানের নানা চেষ্টা করেন আনবর। কিছু দিন আগে ইন্ডিয়ান মুসলিম লিগের প্রধানের সঙ্গে বৈঠকও করেন। কেরল বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস বিধায়ক ভিডি সতীশনের সঙ্গেও আলোচনা করেছেন। তবে এর আগে কংগ্রেসের কয়েক জন নেতাকে আক্রমণ করে বসেন ওই বিধায়ক। শেষে তিনি ডিএমকে দলে যোগদান করতে পারেন বলে চাপানউতর তৈরি হয়। তবে শেষ পর্যন্ত তৃণমূলে যোগ দিলেন আনবর। ঘাসফুল শিবিরের রাজনীতির প্রশংসা করে আনবর জানিয়েছেন, কেরলে ডিএমকে যদি তৃণমূলের সঙ্গে জোট করে তবে সে রাজ্যে বামবিরোধী শক্তি আরও প্রবল হবে।

    ২০১১ সালে এরানাড় বিধানসভা থেকে নির্দল হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বী করেন আনবর। তার পর ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে ওয়েনাড় কেন্দ্র থেকে নির্দল হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। দু’বার ভোটে হারের পর ২০১৬ সালে বাম সমর্থিত নির্দল প্রার্থী হিসাবে নিলাম্বুর থেকে ভোটে জয়ী হন। গত ৫ জানুয়ারি নিলাম্বুর জেলা বন দফতরের অফিসে ভাঙচুর চালানোর ঘটনায় নাম জড়ায় ওই বিধায়কের। হাতির পায়ের তলায় পিষে গিয়ে এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় বিক্ষোভ শুরু করেছিলেন স্থানীয়েরা। তার নেতৃত্বে ছিলেন আনবর। গ্রেফতার হওয়ার ঘণ্টা ১৫ বাদে জামিন পেয়ে বাম সরকারকে বিঁধে নানা মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর দাবি, কেরলে প্রশাসনিক স্তরে সংস্কার আনতে হলে প্রবল বামবিরোধী শক্তির উত্থান জরুরি।

  • Link to this news (আনন্দবাজার)