• ঝঞ্ঝার আবির্ভাবে ফের ছুটির তোড়জোড় শীতের
    এই সময় | ১১ জানুয়ারি ২০২৫
  • এই সময়: জানুয়ারি পড়ার পর প্রথম দশ দিনে শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা মাত্র চার বার ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে নেমেছিল। তবে কোনওবারই ১৩.২ ডিগ্রির নীচে যায়নি রাতের তাপমাত্রা। হাড়–কাঁপানো ঠান্ডা না হলেও শীতের আমেজটুকু উপভোগ করার জন্য এই শীত মন্দ নয়। যদিও এই মরশুমে যতবারই শীত নিজের অস্তিত্বটুকু জানান দেওয়ার চেষ্টা করেছে, প্রতিবারই উত্তর–পশ্চিম ভারতে ঝঞ্ঝা তৈরি হয়ে সেই আমেজের তাল কেটে দিয়েছে।

    এ বারও তার ব্যতিক্রম হলো না। বৃহস্পতিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর যে সম্ভাবনা দেখিয়েছিল শীত, রবিবার পার হলেই সেই আমেজ কাটার পূর্বাভাস দিলেন আবহবিদরা।

    উত্তর–পশ্চিমের আকাশ পরিষ্কার হতেই নতুন করে ঢুকতে শুরু করে দিয়েছিল কনকনে ঠান্ডা হাওয়া। তারই প্রভাবে নতুন করে হিমের পরশ দক্ষিণের জেলায় জেলায়। ফের সিঙ্গল ডিজিটে পুরুলিয়া (৭.১), শ্রীনিকেতন ও ঝাড়গ্রাম (৯) এবং কল্যাণী। শুধু দক্ষিণে কেন, উত্তরবঙ্গেও সমতলের মধ্যে আলিপুরদুয়ার (৯), কোচবিহার (৯.২) এবং জলপাইগুড়ি (৯.৪)।

    কয়েকদিন আগেই অসমের উপর তৈরি হয়েছিল একটি ঘূর্ণাবর্ত। আবহবিদদের একাংশ মনে করছেন, ওই ঘূর্ণাবর্তই উত্তর দিক থেকে ঠান্ডা হাওয়া টেনে দক্ষিণের দিকে নামিয়েছে। তবে, এই সব কিছুরই মেয়াদ শেষের পথে। নতুন করে উত্তর–পশ্চিম ভারতে ঝঞ্ঝা তৈরি হয়ে ‘বন্ধ’ হতে চলেছে ঠান্ডা হাওয়া ঢোকার জানলা।

    আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ রবীন্দ্র গোয়েঙ্কা বলেন, ‘রবিবারের পর নতুন করে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে। আপাতত বলা যায়, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তাপমাত্রা নতুন করে কমার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।’ ঝঞ্ঝার প্রভাব কাটলে আবার কি শীতের ঘুরে আসার মতো সময় বা সুযোগ থাকবে?

    এখনই এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে পারছেন না আবহবিদরা। তবে প্রশান্ত মহাসাগরের উপরিতলের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কমে যাওয়ায়, অর্থাৎ ‘লা নিনা’ পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার জন্য ঠান্ডার আমেজ ফেব্রুয়ারিতেও বহাল থাকবে বলে আশা করছেন অনেকে। শেষ পর্যন্ত কী হয় সেই উত্তর অবশ্যই সময় বলবে।

  • Link to this news (এই সময়)