শুক্রবারই আরাবুল ইসলামকে দল থেকে সাসপেন্ড করেছে তৃণমূল। এ বার তাঁর এবং তাঁর ছেলে হাকিমুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রাণনাশের চেষ্টার অভিযোগ তুলে বিজয়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হলো। অভিযোগ করেছেন ভাঙড়-১ নম্বর ব্লকের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ আহছান মোল্লা। আরাবুল, হাকিমুল-সহ মোট ১০ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ওই তৃণমূল নেতার অভিযোগ, বৃহস্পতিবার ভাঙড়-২ বিডিও অফিসে জমি রেজিস্ট্রি সংক্রান্ত কাজে যাওয়ার সময়ে আরাবুল-হাকিমুলের মদতে তাঁর উপর হামলা হয়। এরপরেই নিজের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা করে থানায় অভিযোগ জানান তিনি।
শুক্রবার তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার একটি ভিডিয়ো বার্তায় জানান, শান্তনু সেন এবং আরাবুল ইসলামকে দল থেকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। যদিও কেন তাঁদের সাসপেন্ড করা হলো, তার কোনও ব্যাখ্যা ওই ভিডিয়ো বার্তায় দেওয়া হয়নি। জয়প্রকাশ অবশ্য পরে সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, শৃঙ্খলাভঙ্গ এবং দলবিরোধী কাজের জন্য তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার রাজনৈতিক মহলের অন্দরে কান পাতলেই শোনা যায়, তৃণমূলের অন্দরে ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়ছিলেন আরাবুল। তাঁকে অতীতে সাসপেন্ডও করা হয়েছিল তৃণমূল থেকে। আইএসএফ কর্মীকে খুনের মামলায় গ্রেপ্তারও হন তিনি। প্রায় ৬ মাস আগে জামিন পেয়ে জেল থেকে ছাড়া পান। কিন্তু তারপরেও জেলা রাজনীতিতে তিনি ক্রমশ গুরুত্ব হারাচ্ছিলেন বলে মত রাজনৈতিক মহলের। পাশাপাশি আরাবুলের বিরুদ্ধে ভাঙড়ের অনেকেই উচ্চ নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ করেছিলেন বলে সূত্রের খবর। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে আরাবুল আরও বিপাকে পড়লেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।