পুণ্যার্থীদের জন্য ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা
বর্তমান | ১১ জানুয়ারি ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, আসানসোল: গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নানের উদ্দেশ্যে আগত পুণ্যার্থীদের বাংলায় স্বাগত জানাতে সেজে উঠেছে শিল্পাঞ্চল। ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর তৈরি হয়েছে স্বাগত তোরণ। রাস্তার উপর একাধিক জায়গায় গড়ে তোলা হয়েছে অস্থায়ী শিবির। সেখানে রয়েছেন চিকিৎসক, নার্স থেকে অ্যাম্বুলেন্স। পুরুষ ও মহিলাদের জন্য রয়েছে আলাদা বিশ্রামাগার, বিনামূল্যে খাবারের ব্যবস্থা। শিবিরগুলির তদারকি করছেন মেয়র, বিধায়ক থেকে মন্ত্রীরা। এবারই প্রথম পুণ্যার্থীদের জন্য এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। উদ্যোক্তাদের দাবি, ১৪ জানুয়ারি ভোরে পুণ্যস্নান। তার আগেই অনেকে পুণ্যার্থী আসা শুরু করে দিয়েছেন।
রাজ্যের শ্রম ও আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে গাড়ুই গ্রামের কাছে জাতীয় সড়কের পাশে অস্থায়ী শিবির বানানো হয়েছে। সব রকম ব্যবস্থা সেখানে করা আছে। শনিবার থেকে ভিড় বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমি নিজে সেখানে থাকব।
উত্তর, মধ্য এবং পশ্চিম ভারত থেকে বাংলায় যোগাযোগের সবচেয়ে বড় মাধ্যম ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক। এই সড়ক ধরেই প্রতি বছর হাজার হাজার পুণ্যার্থী পুণ্যস্নান করতে গঙ্গা সাগর আসেন। সেই তীর্থযাত্রীদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় তারজন্য একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের জনপ্রতিনিধিদের পুণ্যার্থীদের দেখভালের দায়িত্ব দিয়েছেন। তাঁর নির্দেশ মেনেই এবারই প্রথম গঙ্গাসাগর মেলায় আগত মানুষজনের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানার ডুবুরডিহি চেকপোস্ট হয়ে বাংলায় প্রবেশ করছে। বৃহস্পতিবারই সেখানে অস্থায়ী শিবিরের উদ্বোধন করেছেন আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায়। এদিন তিনি আসানসোলের কালিপাহাড়ী মোড়ে ও জামুড়িয়ায় নিঘা মোড়ে অস্থায়ী শিবিরগুলির উদ্বোধন করেন। সেখানেও ভক্তরা বিশ্রাম নিয়ে খাওয়া-দাওয়া করে গঙ্গাসাগরের উদ্দেশে পাড়ি দিতে পারবেন।-নিজস্ব চিত্র