• বাম আমলের অসমাপ্ত সেতু চালু করতে উদ্যোগী পুরসভা
    বর্তমান | ১১ জানুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: করলা নদীতে বাম আমলে এসজেডিএ’র তৈরি অসমাপ্ত সেতু চালু করার উদ্যোগ নিল পুরসভা। জলপাইগুড়ি শহরের সমাজপাড়ায় রবীন্দ্রভবনের সামনে অবস্থিত সেতুটি অন্তত পনেরো বছর ধরে পড়ে রয়েছে। সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য এসজেডিএ’র চেয়ারম্যান থাকাকালীন জলপাইগুড়ি শহরের যানজট কমাতে করলা নদীর উপর সেতুটি তৈরি করা হয়। কিন্তু কাজ শেষ হয়নি। বর্তমানে সেতুটি যে অবস্থায় রয়েছে, তা চালু করতে দু’দিকেই অ্যাপ্রোচ রোড তৈরি করতে হবে। রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর একবার এসজেডিএ’র তরফে সেতুটি চালুর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তখন বাধা হয়ে দাঁড়ায় সেতুর দু’পাশে জবরদখল এবং অপ্রশস্ত রাস্তা। ঠিক হয়, শহরের মানুষের সুবিধার্থে দখলদারদের সরিয়ে রাস্তা চওড়া করে চালু করা হবে সেতুটি। সেইমতো এসজেডিএ বেশ কয়েক বছর আগে কাজ শুরু করলেও ফের তা থমকে যায়। তারপর থেকে আর কোনও উচ্চবাচ্য নেই। অবশেষে জলপাইগুড়ি পুরসভার তরফে অ্যাপ্রোচ রোড তৈরি করে অসমাপ্ত ওই সেতু চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


    শুক্রবার শহরে পার্কিং জোন চিহ্নিত করতে বেরিয়ে সমাজপাড়ায় ওই অসমাপ্ত সেতুটি পরিদর্শন করেন ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়। এরপরই সঙ্গে থাকা পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার যশপ্রকাশ দেবদাসের কাছে তিনি জানতে চান, সেতুটি চালুর প্রক্রিয়া কতদূর এগল? ইঞ্জিনিয়ার জানান, এস্টিমেট তৈরি হচ্ছে। দু’পাশে অ্যাপ্রোচ রোড বানিয়ে দ্রুত সেতুটি চালুর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে দশ লক্ষ টাকা খরচ ধরা হয়েছে।  


    সেতুর এপারে জলপাইগুড়ি পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড। ওপারে শহরের এক নম্বর ওয়ার্ড হাসপাতালপাড়া ডিপো। ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, বাম আমলে এসজেডিএ করলা নদীর উপর এই সেতুটি তৈরির উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু তারা মাঝপথে কাজ বন্ধ করে দেয়। দীর্ঘ বছর ধরে সেতুটি অসম্পূর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। পুরসভা নিজের উদ্যোগেই সেতুটি চালু করবে। সেতুটি চালু হয়ে গেলে মার্চেন্ট রোড থেকে কেউ যদি মনে করেন রায়কতপাড়ার দিকে যাবেন, সেক্ষেত্রে তিনি অনেক কম সময়ে পৌঁছে যেতে পারবেন। তাঁকে আর দিনবাজার হয়ে ঘুরে যেতে হবে না। শহরের যানজট কমবে। নিজস্ব চিত্র। 
  • Link to this news (বর্তমান)